পারিজাত মোল্লা: মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে দাখিল হলো পথ দুর্ঘটনা রোধে নির্দেশিকা জারি সংক্রান্ত মামলা। বেহালার রাস্তায় ক্ষুদে পড়ুয়া সৌরনীল সরকারের মৃত্যুর ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সেজন্য কলকাতা হাইকোর্টে দাখিল হলো জনস্বার্থ মামলা। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা দায়ের হয়।
গত সপ্তাহের শেষের দিকে বাবার সঙ্গে স্কুলে আসছিল, এমন সময় দুর্ঘটনা ঘটে। বড়িশা স্কুলে পড়াশোনা করত সৌরনীল। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় বেহালায়। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, আগুন লাগিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। কার্যত জনরোষ বলা যায়। মঙ্গলবার এই ঘটনা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়।
মামলাকারী আইনজীবীর হাইকোর্টে আর্জি জানান, ‘যাতে কিছু নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়। রাজ্যজুড়ে যত স্কুল আছে প্রতিটি স্কুলের সামনে যেন ট্রাফিক সিগন্যাল ঠিকঠাক মানা হয়, স্কুলে ঢোকা ও বেরনোর সময় যাতে ঠিকঠাক গাইডলাইন থাকে সেই ব্যাপারে নির্দেশ দিক আদালত’। এর পাশাপাশি আরও কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করেছেন ওই আইনজীবী। রাস্তার কাছাকাছি প্রতিটি স্কুলের সামনে ‘গাড়ি আস্তে চালান’ এই কথাটা তিনটি ভাষায় যেন থাকে সে ব্যাপারেও আদালত বলুক। জাতীয় সড়ক ছাড়া অন্যান্য রাস্তার ধারের স্কুলগুলির বাইরে একটা স্পিড ব্রেকার (বাম্পার) দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক, এমনও দাবি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মামলাকারী আরও দাবি করেছেন, ‘স্কুলে ঢোকা বা বেরনোর সময় যেন একজন ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতি থাকে সেটা সুনিশ্চিত করতে হবে’। চলতি সপ্তাহেই প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, বেহালার ক্ষুদে পড়ুয়ার পথের বলি হওয়া ঘটনা পরবর্তীতে ভারী ও মাঝারি পণ্যবাহী ট্রাক ও লরি চলাচলের ক্ষেত্রে নতুন বিধি চালু করেছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই ধরনের গাড়ি কলকাতার রাস্তায় চলাচল করতে পারবে না। এত দিন সকাল ৮টা থেকে শহরে এই নিয়ম ছিল। বেহালার শিশু মৃত্যুর ঘটনার পরই এই পদক্ষেপ করা হল। দেখা গেছে, বিভিন্ন স্কুলের সামনে পথ নিরাপত্তা কে জোরদার করতে ট্রাফিক পুলিশ টহলদারি চালাচ্ছে।