পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বর্ষার প্রভাব সেভাবে মানুষ ভাবিয়ে না তুললেও বাজারদর নিয়ে বেশ চিন্তিত মধ্যবিত্ত কলকাতাবাসী। আর হবে নাইবা কেন, লঙ্কার ঝাঁঝ কিছুটা কমলেও টম্যাটো যেন মহার্ঘ্য। হাতে দিলেই ছ্যাঁকা লাগছে। কলকাতার বাজারগুলিতে বর্তমানে শাকসবজির দাম কিছুটা হলেও স্বাভাবিক তবে কিছু কিছু জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। ফলে দিশাহারা অবস্থা সাধারণ মানুষের। বাজার করতে গিয়ে খাদ্যরসিক বাঙালির নাকের জলে-চোখের জলে হওয়ার অবস্থা। স্বস্তি বলতে কিছুদিন আগে লঙ্কার দাম হয়েছিল ৪০০ টাকা কেজি, সেটা কিছুটা কমেছে। তবে চিন্তা বাড়াচ্ছে টম্যাটোর দাম।
সোমবার পার্ক সার্কাস, ধাঙড় বাজার, মল্লিক বাজার, সবখানেই আনাজপাতির দাম দেখা গেল অনেকটাই চড়া। কাঁচালঙ্কা থেকে টমেটো, ঝিঙে থেকে বেগুন, সব কিছুরই দাম বেশি। এ দিন কলকাতার বাজারগুলিতে কাঁচালঙ্কার দাম প্রতি কেজিতে ১৫০ টাকা, আদার দাম ৩০০ টাকা, কিন্তু টমেটো ২০০ টাকা কেজি, বেগুন ৬০ টাকা কেজি, উচ্ছে ৮০ টাকা কেজি, পটল, ঝিঙে, বরবটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, কোথাও আবার ৪০ টাকা করে। একইরকম করে শসা, ঢেঁড়শ ইত্যাদির দামেও বলতে গেলে আগুম। আলুর দামও ২২ থেকে ২৫ টাকা।
এ নিয়ে বাজারমুখী মানুষজনের দাবি, প্রশাসন বাজারগুলিতে নজরদারি চালাক। শাকসবজির দাম বেশি হয়ে গেলে মানুষ কী খাবে প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ। বেশ কিছুদিন ধরেই আগুন-দাম আনাজপাতির। দামে লাগাম পরাতে বাজাতে নামানো হোক টাস্ক ফোর্স, চাইছেন সকলেই। অন্যদিকে বিক্রেতাদের দাবি, তাদের কেনা দামেই অনেক বেশি পড়ছে, তাই নিরুপায় হয়েই চড়া দামে বিক্রি করতে হচ্ছে আনাজপাতি। মাল কেনার পর যাতায়াত খরচ, কিছু জিনিস নষ্ট হয়ে যায়, এইসব মিলিয়ে দাম ঠিক হয় বলেই দাবি করছেন সবজি বিক্রেতারা।
দাম বৃদ্ধির বিষয়ে পার্ক সার্কাসের এক সবজি বিক্রেতা বলেন, প্রচণ্ড গরমে সবজির খুব ক্ষতি হয়েছে। এরপর এখনকার খামখেয়ালি বৃষ্টির জন্য ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। সবজির চাহিদার থেকে যোগান কম হওয়ার জন্য অনেকটাই দাম বেড়েছে। আর কিছুদিন এমন চলবে বলেও আশঙ্কা করছেন সবজি বিক্রেতারা। তবে মানুষ জানতে চাইছে বাজারে আগুন নিভবে কবে? অবশ্য উত্তর কারও কাছে নেই!