পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: রাজ্যের বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সামাজিক উন্নয়নে সরকারের অগ্রণী সংস্থা ‘পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম’-এর নয়া বোর্ড গঠন করল সরকার। এ নিয়ে সম্প্রতি সরকারি গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। বিত্ত নিগমের পুনর্গঠিত বোর্ডের চেয়ারম্যান ও অন্যান্য সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে গেজেটে। এতে বোর্ডের বেশকিছু পুরানো সদস্য যেমন রয়েছেন, তেমনই নয়া সদস্যও মনোনীত হয়েছেন বিত্ত নিগমের বোর্ডে।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের চেয়ারম্যান থাকছেন আইএএস পি বি সালিম। সদস্য হিসাবে মনোনীত হয়েছেন সাবেক সাংসদ ও রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান আহমদ হাসান ইমরান, মেটিয়াবুরুজের বিধায়ক আবদুল খালেক মোল্লা, বিশিষ্ট সমাজকর্মী মাওলানা মীর আবদুস সামাদ, আবদুল হাসেম মণ্ডল, ইটাহারের বিধায়ক মোসারাফ হোসেন প্রমুখ। আর এই নিগমের এক্স-অফিসিও সদস্য হিসাবে থাকবেন রাজ্যের সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের সচিব, রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন দফতরের সচিব, পুর দফতরের প্রধান বা একজন সচিব, রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের অতিরিক্ত সচিব বা একজন সচিব, বিত্ত নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর, রাজ্যের ফিন্যান্স কর্পোরেশনের এমডি এবং রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশনের একজন প্রতিনিধি।
প্রসঙ্গত, বিত্ত নিগম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ও পার্সিদের সামাজিক উন্নয়নের কাজ করে থাকে। এই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলির পড়ুয়াদের স্কলারশিপ প্রদান, বিভিন্ন দক্ষতা বৃদ্ধি ও কর্মমুখী প্রশিক্ষণ, মহিলাদের স্বনির্ভরতার প্রশিক্ষণ ও ঋণ প্রদান, বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ঋণ প্রদান ও তাদের উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্যকে বাজারজাত করা, বিদেশে পড়াশোনার জন্য ঋণ প্রদান ছাড়াও নানান কাজ করে থাকে এই বিত্ত নিগম। বাম আমলে বিত্ত নিগমের বাজেট অনেক কম ছিল। বর্তমান সরকার বেশি করে টাকা বরাদ্দ করছে। ফলে আরও বেশি করে কাজ করছে এই নিগম। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের বিভিন্ন স্কলারশিপ বন্ধ করে দিলেও রাজ্য সরকারের ‘ঐক্যশ্রী’ প্রকল্পের মাধ্যমে স্কলারশিপ প্রদান জারি রেখেছে এই সংস্থাটি। আর সেই কাজকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে সদ্য বিদায়ী কমিটির অধিকাংশ সদস্যকে পুনরায় মনোনীত করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। নতুন সদস্যও মনোনীত হয়েছে বিত্ত নিগমে। ১ আগস্টে জারি হওয়া গেজেটে যে নতুন বোর্ড গঠিত হয়েছে তা তিন বছর কার্যকরী থাকবে।