সেখ কুতুবউদ্দিন: জন্ম শংসাপত্রের গেরোয় প্রায় রাজ্যের ১০-হাজার পড়ুয়া ২০২৪-এর হাই মাদ্রাসা পরীক্ষায় বসতে পারবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন মাদ্রাসা প্রধান শিক্ষকরা। রাজ্যের একাধিক মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকদের অভিযোগ, ৫ শতাংশ পড়ুয়া রেজিস্ট্রেশন করাতে পারছে না।
জন্মের শংসাপত্রের এই বিষয়ে অভিভাবকদের একাংশের বক্তব্য, মাদ্রাসায় রেজিস্ট্রেশন করাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাঁদের দাবি, চলতে বছরের জন্য জন্ম সার্টিফিকেটের বিষয়টি ছাড় দেওয়া হোক। কারণ, পঞ্চায়েত ভোটের পর এ’নও বোর্ড গঠন হয়নি। তাই ঠিকঠাক ভাবে জন্ম সার্টিফিকেটের আবেদন গ্রহণ করছে না। তাই জন্ম সার্টিফিকেটের আবেদনের রিসিপ্ট কপি পাওয়া যাচ্ছে না। আবেদন কীভাবে করা যাবে।
পড়াশোনার জন্য এত হয় রানি হলে আমরা কী করবো। এ দিকে প্রধান শিক্ষকদের অনেকেই আবার জানান, পড়ুয়াদের রেজিস্ট্রেশন করাতে না পারলে অনেকেই আবার রেজিস্ট্রেশন না করিয়ে মাoাসায় পড়া ছেড়ে দেবে।
তাই মাদ্রাসা বোর্ডের উচিত রেজিস্ট্রেশনে সমস্ত পড়ুয়াদের সুযোগ দেওয়া।
আধার কার্ড, রেশন কার্ড থেকেও গুরুত্বপূর্ণ ‘বার্থ সার্টিফিকেট’।
১৮৮৯ সালের পর থেকে জন্ম শংসাপত্রের উপর গুরুত্ব দেয় সরকার।
ইদানিং হাসপাতালে শিশু জন্মানোর হার বেড়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে সিজার পদ্ধতিতে বাচ্ছা ভূমিষ্ট করানো। তবে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এই হার কমানোর উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে গ্রামগঞ্জে এ’নও বহু মানুষের জন্ম সার্টিফিকেট নেই। কারণ, এ’ন বার্থ সার্টিফিকেট নিয়ে সচেতনতা বাড়লেও আগে গ্রামের বহু পরিবার গুরুত্ব কম দিত। অনেকের কাছেই বার্থ জন্মের শংসাপত্র নেই।
সেই পরিবারের ছেলেমেয়েরা এ’ন হাই মাদ্রাসা, আলিম, ফাজিল পরীক্ষায় বসবে।
এই পরীক্ষায় বসার প্রায় দেড় বছর আগে অর্থাৎ নবম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন করাতে হয় পড়ুয়াদের।
এখন যেমন ছাত্রভর্তির ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণিতে জন্ম সার্টিফিকেট গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা রেজিস্ট্রেশন ও গুরুত্বপূর্ণ।
এ’ন চলছে হাই মাদ্রাসা, আলিম, ফাজিল রেজিস্ট্রেশন । চলবে ৭ আগস্ট পর্যন্ত।
হাই মাদ্রাসা প্রধান শিক্ষকদের বক্তব্য, পড়ুয়া ও অভিভাবকরা মাদ্রাসা আসছেন। শিক্ষকদের কাছে দরবার করছেন। কীভাবে ছাত্র ছাত্রী হাই মাদ্রাসা পরীক্ষায় বসতে পারে তার নিদান নিচ্ছেন।
মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষিকাদেব বক্তব্য, জন্ম সার্টিফিকেট জরুরি। তা না হলে অনলাইনে আবেদন করা যাবে না। অফলাইনের ব্যবস্থা থাকলেও জন্ম সার্টিফিকেট এর আবেদনের রিসিপ্ট কপি পাচ্ছে না পড়ুয়ারা।
এদিকে মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ এক নির্দেশিকায় জানিয়েছে, জন্ম সার্টিফিকেট না থাকলে আবেদন করা যাবে না। পর্ষদ আরও জানিয়েছে, জন্ম সার্টিফিকেটের জন্য ইতিমধ্যে যারা সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করেছে, তারাও রেজিস্ট্রেশন জন্য অ্যাপ্লিকেশন করাতে পারবে। কিন্তু অভিভাবকদের অভিযোগ, অনেকে আবেদন করাতে গেলেও সংশ্লিষ্ট দফতরগুলি আবেদন গ্রহণ করছে না। পাশাপাশি কারোওর হাতে আবেদন গ্রহণ করলেও জন্ম সার্টিফিকেট কবে পাবে তার কোনও সদুত্তর পাচ্ছেন না প্রার্থীরা। প্রার্থীদের অনেকেরই বক্তব্য, জন্ম সার্টিফিকেট এর জন্য আবেদন করতে গেলে বিভিন্ন ডকুমেন্ট চাওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টও সাবমিট করাতে পারছে না আবেদনকারীরা।
শিক্ষক সংগঠনের নেতৃত্বদের দাবি, ৭০ শতাংশ জন্ম সার্টিফিকেট রয়েছে, ৩০ শতাংশের নেই। রাজ্য পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হয়নি।
পঞ্চায়েতে সেক্রেটারি থাকলেও পড়ুয়াদের জন্ম সংশাপত্রের দরখাস্ত গ্রহণ হচ্ছে না।। পষদের উচিৎ এ বছর জন্ম শংসাপত্র ছাড় দেওয়া অথবা রেজিস্ট্রেশন তারিখ বাড়িয়ে দেওয়া। উভয় সঙ্কটে পড়ুয়ারা। আধার কার্ডে যে নাম, জন্ম সার্টিফিকেটর সঙ্গে নামের মিল নেই। সেই জন্য সরকারি পরিষেবাগুলি?