পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আমি কিছুই বুঝতে পারিনি। স্কুল থেকে ফোন করে বলল, আমাকে বলল, এক্ষুনি চলে আসুন। আমি বললাম এখুনি আসতে হবে। আমি ভেবেছি, পরীক্ষায় স্কেল, পেন্সিল ফেলে গেছে। আমি ব্যাগে করে গুছিয়ে নিয়ে আমি যাচ্ছিলাম। ওর বাবার ফোন এল। বলল আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে। ওর বাবা বলল আহত হয়েছে সে। বলেই, কান্নায় ভেঙে পড়লেন বেহালায় দুর্ঘটনায় মৃত সৌরনীল সরকারের মা। এই মাসের ২৫ আগস্টই জন্মদিন ছিল সৌরনীলের। সংবাদমাধ্যমকে জানান, আমি আর কিছু বলতে পারছি না, আমাকে ছেড়ে দিন।
শুক্রবার সাত সকালে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয়ে ওঠে বেহালার চৌরাস্তা। বরিশা হাইস্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যুতে পুলিশ ও জনতার মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। ইট ছুড়তে থাকে পুলিশ। পুড়িয়ে দেওয়া হয়, পুলিশের গাড়ি, সরকারি বাস। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি চার্জ করে পুলিশ। কাঁদানে শেলে আহত হয়ে পড়েন স্কুলের সামনে থাকা ছাত্র থেকে অভিভাবকেরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। উন্মত্ত জনতার ছোঁড়া ইটের আঘাতে আহত হন পাঁচজন পুলিশ কর্মী। আহত হয়েছেন কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম কমিশনার রূপেশ কুমারের মাথা ফেটে গিয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। তাঁর সিটি স্ক্যান করা হবে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। এই ঘটনায় অভিযুক্ত লরিচালককে গ্রেফতারের দাবিতে সরব হন স্থানীয়েরা। দুর্ঘটনার খোঁজ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যপাধ্যায়। ছাত্রের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়লেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক।