পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্যের প্রতিটি গ্রামীণ স্তরে শিল্পের প্রসার ঘটাতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে মমতা সরকার। দুয়ারে সরকারের ধাঁচেই এবার তাই ছোট শিল্পদ্যোগীদের কাছে পৌঁছতে চালু করা হল ‘শিল্পের সমাধানে’ প্রকল্প।
রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোটো ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তাদের আরও উৎসাহ যোগাতে ও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে বিশেষ কর্মসূচি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। তাই মঙ্গলবার অর্থাৎ ১ আগস্ট থেকে শুরু হল রাজ্য সরকারের ‘শিল্পের সমাধানে’ কর্মসূচি। জানা গিয়েছে, এই কর্মসূচি চলবে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত। গ্রাম থেকে শহর, সর্বত্র এই ক্যাম্প বসবে। সোম থেকে শুক্র সপ্তাহে পাঁচদিন এই ক্যাম্প বসবে।
জানা গিয়েছে, স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে ঋণ দেওয়া থেকে শুরু করে ছোট, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগীদের ঋণ সহ যাবতীয় সাহায্য করার জন্যই এই নয়া কর্মসূচি। ব্যবসায় ঝোঁক থাকা বেকার যুবক, যুবতীদের আর্থিক সাহায্য করা হবে এই শিল্পের সমাধানে ক্যাম্পে। এছাড়াও মিলবে ব্যবসায় উন্নতি করার সঠিক পরামর্শ এবং দিশা। এই কর্মসূচিতে ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ডে ৯ হাজার ৬০০টি আবেদন এবং উদ্যম রেজিস্ট্রেশনে ১৪ হাজার জনকে যুক্ত করার টার্গেট নেওয়া হয়েছে।
সরকারি পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন করলে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে কোনও মধ্যস্থতাকারী ছাড়াই পণ্য বিক্রয়ের সুযোগ থাকবে। দেশীয় বাজার সহজে ধরতে পারবেন প্রত্যেকে। পাশাপাশি নতুন নতুন পণ্যসামগ্রী সম্পর্কেও ধারণা পাবেন উদ্যোগীরা। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের নতুন আবেদনপত্র জমা হবে। ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ডের আবেদনও সংগ্রহ করা হবে।
এছাড়াও উৎকর্ষ বাংলাতে নাম তোলানো ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামও থাকছে।
সরকারের এই কর্মসূচিতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে ঋণ প্রদানের জন্যও আবেদন করতে বলা হয়েছে এই সব শিবিরে। শিল্পের সমাধানে কর্মসূচির মাধ্যমে গোটা আগস্ট মাসে রাজ্যজুড়ে ক্ষুদ্র, ছোটো ও মাঝারি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত তাঁতি, কারিগরদের কাছে পৌঁছবে রাজ্য প্রশাসন। এছাড়াও ৫ লাখ কারিগর ও তাঁতির নাম নথিভুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, পরিষেবা বলতে ভবিষ্যত ক্রেডিট কার্ডে আবেদনের সুযোগ মিলবে এই শিবির থেকে। এছাড়াও, শিবিরগুলিতে কারিগর ও তাঁতিদের তালিকাভুক্ত করে ভবিষ্যৎ পরিচয়পত্র দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে আর্থিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। অনলাইনে উদ্যম পোর্টালে ইচ্ছুকদের নাম নথিভুক্তকরণ করা হবে। অন্যদিকে শিবিরগুলিতে হস্তশিল্প সামগ্রীর প্রদর্শন সহ বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা হবে। সব শিবিরেই ১৫টি স্টল থাকবে। সন্ধ্যার দিকে লোক সংগীত ও সাংßৃñতিক অনুষ্ঠানও থাকছে শিবিরে।