পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্য সরকার বাংলার বুকে বিমান পরিষেবাকে আরও জোরদার করতে চায়। এর জন্য বিরোধী দলেরও সহযোগিতা দরকার। সোমবার বিমান পরিষেবা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে এভাবেই বিধানসভায় নিজের পরিকল্পনার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ দিন বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে কেন্দ্র সরকারকেও বিশেষ অনুরোধ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ, বর্তমানে কলকাতা থেকে কোচবিহার রুটে সিঙ্গেল ইঞ্জিন যাত্রীবাহী বিমান চালানো হচ্ছে, এবার যেন তার বদলে ডবল ইঞ্জিনের বিমান চালানো হয়।
এ দিন আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওরাওঁ তাঁর এলাকার উন্নয়ন সম্পর্কে প্রশ্ন করেন।
বিমানবন্দর নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। একই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিমান চলাচল প্রসঙ্গে জানতে চান ইংরেজবাজারের বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। এইসব প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বাংলার বিমান পরিষেবাকে উন্নত করতে সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। সেইসঙ্গে কোচবিহার রুটের বিমান নিয়েও কেন্দ্রের কাছে অনুরোধ রাখেন। এ দিন মমতা বলেন, আকাশে কার কী ভাগ্যে আছে, সেটা কেউ বলতে পারে না। কেন্দ্রের উচিত ডবল ইঞ্জিন বিমান যাতে চালু করা যায়, সেদিকটা ভেবে দেখতে।
অন্য এক প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আলিপুরদুয়ারের হাসিমারাতে নতুন বিমানবন্দর তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারের। পুরুলিয়াতেও বিমানবন্দর তৈরির পরিকল্পনা আছে। কোচবিহার, বালুরঘাটে বিমানবন্দর তৈরির কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। মালদাতেও কাজও শেষ পর্যায়ে। অন্ডালে একটি কার্গো বিমানবন্দর চালু করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এ বিষয়ে বিরোধী বিধায়কদের উদ্যোগী হতে হবে। বিমানবন্দর তৈরির জন্য আপনারা দ্রুত দিল্লি থেকে ছাড়পত্রের বন্দোবস্ত করুন। ডবল ইঞ্জিন বিমান চলাচলের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হোক। বিমানবন্দরের জন্য ইতিমধ্যেই ৩০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিমানবন্দরের জন্য ছাড়পত্র দিয়ে থাকে কেন্দ্রের অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রক। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত নেওয়ার উপরই নির্ভর করবে বাংলার বিমানবন্দরগুলিতে বিমান চলাচল। কেন্দ্রের অসমারিক পরিবহনমন্ত্রক যত দূর ছাড়পত্র দেবে, রাজ্যের পরিবহণ ব্যবস্থা ততই দ্রুত উন্নত হবে।