পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: কানাডার টরন্টোয় অবস্থিত একটি মসজিদে ‘সন্ত্রাসী’ হামলায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে ৮ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার তার বিরুদ্ধে এ সাজা ঘোষিত হয়। মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত বছরের ১৯ মার্চ মুইজ ওমর নামে এক যুবক টরন্টোর মিসিসাগায় দারুত তাওহিদ ইসলামিক সেন্টারে প্রবেশ করে সেখানে উপস্থিত লোকজনের ওপর হামলা চালায়। তার হাতে সে সময় একটি বিষাক্ত স্প্রে ও একটি কুড়াল ছিল। ফজরের নামাযের সময় এ হামলা চালানো হয়। তবে বড় ধরনের কোনও ক্ষতি করার আগে তাকে রুখে দিয়েছিলেন মুসল্লিরা। আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে মুইজ ওমর জানায়, এখন পুরোপুরি নাস্তিক সে। ইসলামবিদ্বেষী হয়ে ওঠার পর মুসলিমদের ভয় দেখাতে চেয়েছিল সে। আর এ কারণেই মসজিদে গণহত্যা চালাতে গিয়েছিল সে। গত ১৯ জুলাই আদালত তিনটি অভিযোগে ওমরকে অভিযুক্ত করে। অভিযোগ তিনটি হল, শারীরিক ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে বিষাক্ত পদার্থ (ভাল্লুক স্প্রে) সঘ্গে রাখা, অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ এবং ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা। এ সময় আদালত এ হামলাটিকে একটি ‘সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে চিহ্নিত করে। শুনানিতে দারুত তাওহিদ ইসলামিক সেন্টারের ইমাম ইব্রাহিম বলেন, ‘হামলাটি ছিল ভয়ঙ্কর। হামলাকারী কোনও মানসিক রোগী ছিল না। বরং সে পরিকল্পিতভাবে গণহত্যা চালাতে চেয়েছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘বড় কোনও ক্ষতি করার আগেই তাকে থামানো সম্ভব হয়। মসজিদের মুসল্লিরা ওমরকে জপটে ধরেছিল। ফলে সে কুড়াল দিয়ে কাউকে আঘাত করতে পারেনি। তবে তার স্প্রেতে কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছিল। এছাড়া তার হামলায় মসজিদের ১২ হাজার ডলারেরও বেশি ক্ষতি হয়েছিল।’ প্রসঙ্গত, কানাডায় কয়েক বছর ধরেই ইসলাম-বিদ্বেষী কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন সময় মসজিদের হামলার ঘটনাও বেড়েছে।