পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ২০১৬ সালে হয়েছিল নোটবন্দি। সেই বছর অক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৫০০ ও ১০০০ টাকা বাতিলের কথা ঘোষণা করেন। রাতারাতি বাতিল হয়ে যায় এই নোটগুলি। অথৈ জলে পড়ে গোটাদেশবাসী। বাজারে কালো টাকার ব্যবহার রুখতেই কেন্দ্রের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এবার ২০০০ টাকা নোট বাতিলে আবহে প্রশ্ন উঠল ফের কি ফিরবে ১০০০ টাকার নোট। বাদল অধিবেশনে সংসদে এমন প্রশ্নও উত্থাপন করেন বিরোধীরা।
যদিও এর সরাসরি জবাব দেননি অর্থ প্রতিমন্ত্রী। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২০০০ টাকার নোট বদলে নিতে নির্দেশিকা জারি করেছে আরবিআই। ততক্ষণ পর্যন্ত ২০০০ টাকার নোট আইনি টেন্ডার হিসাবে কাজ করবে বলে জানিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাংক। এই নির্দেশিকা কি আরও বাড়বে সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিরোধীরা। এর জবাবে অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী জানিয়েছেন, ব্যাংকে ২০০০ টাকার নোট জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানো হবে না। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা রয়েছে। পুরো দেশকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ২০০০ টাকার নোট জমা দিতে হবে। এই মুহূর্তে সাধারণ মানুষের কাছে ২০০০ টাকার নোট জমা দেওয়ার জন্য ২ মাসেরও বেশি সময় বাকি আছে।’
যদিও এই সময়ের মধ্যে ব্যাংকে অনেক ছুটি রয়েছে। তবে তার জন্য এই সময়সীমা বাড়াতে হবে বলে মনে করছে না কেন্দ্র সরকার। কালো টাকা দূর করতে সরকার আবার কি নোটবন্দির পরিকল্পনা করছে? জবাবে অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী বলেন, সরকার মুদ্রা বাতিল বা বন্ধ করার কোনও চিন্তা-ভাবনা করছে না। কেন্দ্রীয় সরকার কি ১০০০ টাকার নোট আবার চালু করবে? বাদল অধিবেশনে সংসদে বিরোধীদের এই প্রশ্ন এড়িয়ে যান অর্থ প্রতিমন্ত্রী। পঙ্কজ চৌধুরী বলেন, রিজার্ভ ব্যাংকের মতে, ২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল মুদ্রা ব্যবস্থাপনার অপারেশন। অন্যদিকে, ২০০০ টাকার নোটের বিনিময়ে অন্যান্য নোটের যে পরিমাণ ব্যাংকে জমা করা হচ্ছে তা অর্থনীতি সচল রাখার ক্ষেত্রে যথেষ্ট। তাই দেশবাসীর উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। বর্তমানে ভারতের সবচেয়ে বড় মুদ্রা হচ্ছে ৫০০ টাকার নোট বলেও উল্লেখ করেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী। অর্থাৎ সাম্প্রতিককালে ১০০০ টাকার নোট পুনরায় চালু করার পরিকল্পনা যে সরকার করছে না, তা একপ্রকার স্পষ্ট করে দিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী।