কৌশিক সালুই বীরভূমঃ নকল সোনার মোহর প্রতারণার ঘটনায় বড় সাফল্য বীরভূম জেলা পুলিশের। অভিযোগের ভিত্তিতে চার দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে প্রতারিতদের বিপুল অঙ্কের টাকা পাশাপাশি প্রতারকের কাছ থেকে চার রাউন্ড কার্তুজসহ রিভলভার এবং প্রচুর সংখ্যক নকল মোহর।
বীরভূম জেলা পুলিশের ফের বড়োসড়ো সাফল্য। নকল সোনার মোহর প্রতারণার ঘটনা সিউড়ি থানার পুলিশ চার দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে। ধৃত প্রতারকরা হলেন শেখ শমসের আলী, শেখ মোশারফ মশা, শেখ শফিউল্লাহ এবং ওমর ফারুক। অভিযুক্তদের শুক্রবার তাদের বাড়ি সিউড়ি থানার দমদমা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে শনিবার তাদের আদালতে তোলা হবে। একটা প্রতারণার ঘটনা অভিযোগ পেয়ে সিউড়ি থানার পুলিশ ঘটনা তদন্তে নামে এবং বড়োসড়ো সাফল্য লাভ করে। বেশ কিছুদিন আগে আসানসোলের কুলটি এলাকার বাসিন্দা পরিমল মন্ডল নামে এক ব্যক্তিকে অভিযুক্তরা বাদশাহী আমলে সোনার মোহর খুব সস্তা দামে দেওয়ার টোপ দেয়। ইতিমধ্যেই সেই প্রতারণায় পা দিয়ে ফেলেন ওই ব্যক্তি। দুষ্কৃতীদের হাতে কয়েক লক্ষ টাকা তুলে দেয়। সোনার কয়েন হাতে পেয়েই তিনি বুঝতে পারেন সেগুলি আসল নয় সবগুলি নকল। দিন তিনেক আগে প্রতারিত ব্যক্তি সিউড়ি থানায় বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেন। পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে চার প্রতারককে ধরে ফেলে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকা। বীরভূম জেলায় নকল সোনার মোহর এর প্রতারণা নতুন নয়। সাঁইথিয়া লাভপুর শান্তিনিকেতন থানা এলাকায় সম্প্রতি এই ধরনের প্রতারণার ঘটনা অভিযোগ পেয়ে ১৫ জনের বেশি প্রতারককে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার সচেতনতা বার্তা দেওয়া হলেও অনেক মানুষ লোভের বশবর্তী হয়ে প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হচ্ছেন। নকল সোনার মোহর এর প্রতারণার বিষয়ে বীরভূম জেলা পুলিশ সচেতনতা বার্তা দিয়ে সম্প্রতি একটি প্রচারমূলক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে। তা সত্ত্বেও এখনো বহু মানুষ নানাভাবে সেই প্রতারকদের খপ্পরে পড়ছেন। বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী বলেন,” নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে নকল সোনার কয়েন প্রতারণার ঘটনায় চার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে কার্তুজসহ একটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং উদ্ধার হয়েছে প্রতারিতদের বিপুল পরিমাণ টাকা