রেজাউল করিম: দেশে সংখ্যালঘুদের উপর নানা ধরণের আক্রমণ হচ্ছে, ছড়ানো হচ্ছে বিদ্বেষ। সংবিধানের ওপর আঘাত করা হচ্ছে। এর মধ্যেও আমাদের উন্নয়নের কথা ভাবতে হবে। সেজন্য শিক্ষাই হচ্ছে বড় হাতিয়ার। শিক্ষার মাধ্যমে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। মালদায় এসে পড়ুয়াদের সামনে এই কথাগুলিই বললেন রাজ্যের সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান আহমদ হাসান ইমরান। শনিবার তারবীয়াহ কেমব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আহমদ হাসান ইমরানকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। পাশাপাশি এক মনোজ্ঞ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সংশ্লিষ্ট স্কুলের অডিটোরিয়ামে ‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষা ও সামাজিক উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বিভিন্ন দিক আলোকপাত করে পড়ুয়াদের উৎসাহিত করেন মাইনোরিটি কমিশনের চেয়ারম্যান ইমরান। অন্যান্যদের মধ্যে হাজির ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী জনাব নজরুল ইসলাম, কালিয়াচক কলেজের অধ্যক্ষ নাজিবুর রহমান, মাদ্রাসা বোর্ড সহসচিব আশিক ইকবাল, তারবীয়াহ কেমব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের চেয়ারম্যান জনাব আজিজুর রহমান, জেলা পরিষদের সদস্য আবদুল হান্নান প্রমুখ। ইংরেজিতে সভা সঞ্চালনা করেন অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী আনিকা সামা। কৃতী পড়ুয়াদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ইমরান।
মাইনোরিটি কমিশনের চেয়ারম্যান আহমদ হাসান ইমরান জানান, ‘সরকারি পরিষেবা বা প্রকল্পসংক্রান্ত কোনও অভিযোগ থাকলে কিংবা কেউ বঞ্চিত হলে আমাদের কাছে বলার সুযোগ রয়েছে। সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তার সমাধানের চেষ্টা করব।’ মানুষের উন্নয়নের ব্যাপারে বলতে গিয়ে তিনি জানান, ‘কে কোন রাজনীতি করে, আমরা তা দেখব না। আমরা দেখব বাংলার উন্নয়নের দিকে। সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন নিয়ে ভাবতে হবে। শিক্ষার উন্নয়নের ক্ষেত্রে কে কোন ভূমিকা নিচ্ছে কিংবা প্রশাসনের কোথায় কোথায় ঘাটতি রয়েছে, তার পর্যালোচনার প্রয়োজন রয়েছে।’ মালদা শিক্ষার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ইমরান জানান, ‘মালদার মানুষ চাইছে শিক্ষায় এগিয়ে যেতে। দেখে খুব ভাল লাগছে, কালিয়াচকের টার্গেট পয়েন্ট স্কুলের মতো ১০০টি ছোট বড় স্কুল গড়ে উঠেছে। একটা বিপ্লব এসেছে। আল-আমীন মিশন থেকেই এ বছর ৬০০ পরীক্ষার্থী চিকিৎসক হতে চলেছে।’ এদিন জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, ইমাম, শিক্ষানুরাগীদের উপস্থিতিতে সমাজের বিভিন্ন অভাব অভিযোগ, সমস্যা ও তার সমাধান নিয়ে পরস্পর মতবিনিময় হয়।