পুবের কলম প্রতিবেদক: এবার জাপানি কনসেপ্টে বননায়ন হবে কলকাতায়। স্বল্প জায়গায় এই বননায়ন তৈরির পরিকল্পনা করেছিলেন জাপানি এক ব্যক্তি মিও কে। এর মূল উপকারিতা হচ্ছে, এই বননায়ন তৈরি করার ক্ষেত্রে যে গাছের চারাগুলি রোপন করা হয় তা একে ওপারের পরিপূরক, এবং একইসঙ্গে অক্সিজেন তৈরির ক্ষেত্রে সহায়ক। বর্তমানে এই বননায়ন তৈরি করার জন্য কলকাতার দুটি জায়গাকে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। একটি সুভাষ সরোবর, অন্যটি রবীন্দ্র সরোবর। এই দুই জায়গায় চারা গাছ রোপন করার জন্য ইতিমধ্যেই টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। এই প্রজেক্টে কলকাতা পুরসভার খরচ হচ্ছে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা।
দূষণের নিরিখে দিল্লির থেকে খুব একটা পিছিয়ে নেই কলকাতা। যা আগামী প্রজন্মের জন্য ভয়ঙ্কর। এই অবস্থায় শহরে সবুজায়ন বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। মেয়র ফিরহাদ হাকিম ঘোষণা করেছেন যে, আগামী তিন বছরে কলকাতা এবং সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে এক কোটি গাছ লাগানোর লাগানো হবে। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই মেয়রের নেতৃত্বে একটি বৈঠক সম্পন্ন হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পুর কমিশনার বিনোদ কুমার, উদ্যান বিভাগের পরিষদ দেবাশিস কুমার সহ পুরসভার অন্যান্য আধিকারিকরা। এসেছিলেন পূর্তসচিব অন্তরা আচার্য। যেহেতু গঙ্গাপাড়ে বৃক্ষরোপণ করতে হলে সেনা এবং বন্দরের অনুমতি প্রয়োজন, তাই তাদেরও বৈঠকে ডাকা হয়। সেই বৈঠকে সবুজায়নের জন্য হাওড়া পুরসভা, পুলিশ, পোর্ট ও রেলের সাহায্য চাওয়া হলে সবুজ সংকেত মিলেছে।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, কলকাতা এবং হাওড়া মিলিয়ে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত গঙ্গার দু’পাড়ে বৃক্ষরোপণ হবে। জায়গা ঠিক করতে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই নদীপথে যৌথ পরিদর্শন হবে। উপস্থিত থাকবেন পুরসভা, বন্দর এবং সেনার প্রতিনিধিরা। শহরে স্থান সংকুলান থাকায় মূলত দেবদারু গাছ লাগানোয় জোর দেওয়া হবে। ভূমিক্ষয় আটকাতে নদীপাড়ে বসানো হবে কেওড়া বা সমগোত্রীয় ম্যানগ্রোভ। ইএম বাইপাস থেকে বাসন্তী হাইওয়ে ধরে বানতলা পর্যন্ত দু’পাড়ে ১২ কিলোমিটার পথে গাছ লাগানোর সুযোগ রয়েছে। বাইপাস সাজানোর পরবর্তী ধাপ হচ্ছে সায়েন্স সিটি থেকে আনন্দপুর পর্যন্ত বৃক্ষরোপণের নকশা। এছাড়া টালিনালার দু’ধারেও বৃক্ষরোপণ করা হবে।