পারিজাত মোল্লা: নির্দেশ নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতির মতবিরোধ, তাই মামলা গেল তৃতীয় বেঞ্চে। প্রাথমিকের চাকরিতে সংরক্ষিত আসনে কারা সুযোগ পাবেন? সেই নিয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতির মধ্যে মতপার্থক্য দেখা যায়।
এর ফলে এই মামলার রায় স্পষ্ট হল না। দুই বিচারপতির মধ্যে মতপার্থক্য হওয়ায় সেই মামলা গেল তৃতীয় বেঞ্চে। আগামী ১৬ অগস্ট কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের সিঙ্গল বেঞ্চে এই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিকে ২১ জনের চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রাপ্ত নাম্বারের অঙ্কের জটিলতায় আটকে যায় সেই নিয়োগ। সংরক্ষিত আসনে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৫৫ শতাংশ বাধ্যতামূলক।
সেই জন্য কমিশন ঠিক করেছিল, যাঁরা ৮৩ নম্বর পেয়েছেন তাঁরাই সুযোগ পাবেন।
তবে মামলাকারীদের দাবি, বিষয়টি নিয়ে জটিলতার কারণে এনসিটিই শতাংশের পাশাপাশি নম্বরও নির্দিষ্ট করে দেয়।
এনসিটিই জানায়, ৮২ নম্বর হলেই যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। তা ছাড়া দু’টি টেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে কয়েকটি প্রশ্ন ভুল ছিল।
যদিও পর্ষদ সেই মামলার শুনানিতে আদালতে জানিয়েছিল, ১৫০-এর মধ্যে ৮২ নম্বর আসলে ৫৪.৬৭ শতাংশ। অর্থাৎ সংরক্ষিত প্রার্থীদের যে ৫৫ শতাংশের হিসেব সেটা হচ্ছে না। যদি ৮৩ পান, তবেই এনসিটিই দেওয়া নিয়ম মানা যাচ্ছে।
সেই শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, -‘ ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মামলাকারী পরীক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন’।
তারপরই ওয়েটিং লিস্টে থাকা বাকিরা চাকরিপ্রার্থীরা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন।
কিন্তু এই মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের মধ্যে মত পার্থক্য দেখা দেয়। যার জেরে মামলা সরিয়ে দেওয়া হয় তৃতীয় বেঞ্চে। বৃহস্পতিবার সব পক্ষের আইনজীবীরা বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের এজলাসে গিয়ে মামলাটি দ্রুত শুনানির আবেদন করেন।
আগামী ১৬ আগস্ট এই মামলার শুনানি হবে নব নিযুক্ত বেঞ্চের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের এজলাসে।