পারিজাত মোল্লা: একের পর এক অভিযোগ পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে।তাতে নবতম সংযোজন পঞ্চায়েত ভোটে ‘পরাজিত’ তৃণমূল প্রার্থীকে শংসাপত্র প্রদান বিডিওর।এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রামের এক নির্দল প্রার্থী। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অমৃতা সিনহার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি মামলা দায়েরের অনুমতি দেন। জানা গেছে, আগামী শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই মামলার শুনানি হতে পারে।
আদালত সুত্রে প্রকাশ, নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের কেন্দামারি জালপাই পঞ্চায়েতের ২১৭ নম্বর আসনে নির্দল প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন রীতা বল্লভ। তাঁর অভিযোগ, ১১ জুলাই ভোট গণনার শেষে তাঁকে ১৮১ ভোটে জয়ী ঘোষণা করা হয়। এর পর এপিআরও-র সই ও স্ট্যাম্প-সহ শংসাপত্রও দেওয়া হয়। রীতার অভিযোগ, ‘ফল প্রকাশের সাতদিন পর গত গত সোমবার বিডিও অফিস থেকে একটি ফোন আসে তাঁর কাছে। জানানো হয়, তাঁকে সার্টিফিকেট ফেরত দিতে হবে।
কারণ তিনি জয়ী হননি, পরাজিত হয়েছেন। অভিযোগ , তাঁর চোখের সামনেই তৃণমূলের প্রার্থী তাপসী দোলুইকে ১৮১ ভোটে জয়ী ঘোষণা করে তাঁর হাতে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। তাতেও এপিআরও-র সই ও স্ট্যাম্প রয়েছে। শাসকদলের নেতাদের চাপেই বিডিও সত্য বদলে মিথ্যের আশ্রয় নিয়েছেন। এই অভিযোগেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন রীতাদেবী।
আদালতের নজরদারিতে পুনর্গণনারও দাবি জানিয়েছেন তিনি। নন্দীগ্রামের ওই নির্দল প্রার্থী ছাড়াও পুনরায় ভোট ও পুনর্গণনার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের ৭জন তৃণমূল ও ১জন নির্দল প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে কেউ বেলদার, কেউ খেজুরির আর কেউ রামনগরের। এদের কারও অভিযোগ, ভোটে জেতার পরেও শংসাপত্র পাননি। কারও অভিযোগ, ব্যালট পেপারে প্রিসাইডিং অফিসারের সই নেই। এই রকম একাধিক অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন এই ৯ জন প্রার্থী।আগামী শুক্রবার নন্দীগ্রামের এই মামলা টি শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে।