শুভজিৎ দেবনাথ,গয়েরকাটা: একদিকে বৃষ্টি অন্যদিকে হড়পা বান। প্রকৃতির তাণ্ডবে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। আকস্মিক হড়পা বানের জেরে মুহূর্তের মধ্যে জলের তলায় তলিয়ে যায় একাধিক ঘরবাড়ি। এই সময় এলাকায় তৃণমূলের নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য কিছু না ভেবেই ঝাঁপিয়ে পড়লেন মানুষকে উদ্ধারের কাজে। সঙ্গে ছিলেন এলাকার আরো বেশ কয়েকজন যুবক। অপেক্ষা করলেন না সিভিল ডিফেন্স অথবা বিপর্যয় মোকাবিলা দলের।
প্রশাসনের লোকেদের কাছে খবর যাওয়ার আগেই মানুষদের উদ্ধার কাজে নেমে পড়েন তিনি। খরস্রোতা নদীর এক বুক জ্বলে দড়ির সাহায্য নিয়ে জলবন্দি মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে আসেন। এমনকি বয়স্কদের কোলে করে উদ্ধার করতে দেখা যায়। বন্যায় বাড়িতে উনুন জ্বলেনি তাই নিরাপদ জায়গায় এনে এক বেলা খাবারেরও ব্যবস্থা করেন বাবন বাবু সহ তার অনুগামীরা। তাতেই প্রশংসার পঞ্চমুখ এলাকায় বাসিন্দারা।
যখন এক দিকে গয়েরকাটার পাশাপাশি বিন্নাগুড়ির মানুষ জলে জলে হাবুডুবু খাচ্ছিল সেই সময় এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য ঘরবন্দী ছিলেন বলেই অভিযোগ উঠেছিলো। ঠিক তার উল্টো ছবি দেখা গেল গয়েরকাটার সাঁকোয়াঝোরা -১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪/২১২ নং বুথের জ্যোতির্ময় কলোনিতে । নিজের প্রাণ সংশয় রেখেই নবনির্বাচিত প্রতিনিধির নেতৃত্বেই গ্রামবাসীরাও ঝাঁপিয়ে পড়লেন জলবন্ধী হয়ে আটকে পড়া মানুষকে বাঁচাতে । উদ্ধার করলেন প্রায় দশটি পরিবারের সদস্যদের, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বয়স্ক মানুষ ছিলেন বলে জানা গেছে।স্বাভাবিকভাবেই এখন এলাকায় সবার মুখে মুখে নাম সদ্য নির্বাচনে জিতে আসা পঞ্চায়েত সদস্যর।
এবিষয়ে নব নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য বাবুন দত্ত কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, চোখের সামনে অসহায় মানুষরা জলে ভেসে যাবে এটা দেখা যায় না। তাই গ্রামের কিছু যুবকদের তৎপরতায় দড়ির সাহায্যে তড়িঘড়ি নেমে পড়েছি। ৮-১০ কে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রামের যুবকরাই এই কাজে সহযোগিতা করেছে সবচাইতে বেশি।