কৌশিক সালুই বীরভূম ১১ জুলাই:– শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি আস্থা রাখল ডেউচা পাঁচামী কয়লা শিল্প অঞ্চলের মানুষজন। প্রকল্প এলাকার পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ী হলো তৃণমূল। অন্যদিকে মহ:বাজার ব্লক এলাকায় বারোটি গ্রাম পঞ্চায়েত এর মধ্যে নটি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বাকি তিনটি বিজেপি দখল করেছে।
ডেউচা পাঁচামি কয়লা শিল্পাঞ্চল এলাকার পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েত হিংলো ডেউচা ভারকাটা সেকেডডা এবং পুরাতন গ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতা ধরে রাখল। হিংলো গ্রাম পঞ্চায়েতে সাতটি তৃণমূল কংগ্রেস এবং একটি বিজেপি জয়লাভ করেছে। ডেউচা গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেস আটটি এবং বিজেপি দুই সংসদে জয়ী হয়েছে। ভারকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতে দশটি কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস পাঁচটিতে সিপিএম এবং নির্দল এবং বিজেপি একটি কেন্দ্রে জয়লাভ করেছে। এর মধ্যে একজন সিপিএম ও একজন বিজেপি প্রার্থী শাসক দলে যোগ দিয়েছেন। সেকেডডা গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেস 13 টি এবং সিপিএম আটটি জয়লাভ করেছে।
পুরাতন গ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতে দশটি সিপিএম ৪টি এবং বিজেপি দুটি কেন্দ্রে জয়লাভ করেছে। এ বছরে পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকদলের এলাকায় মূল ইস্যু ছিল ডেউচা পাঁচামি কয়লা শিল্পাঞ্চল প্রকল্প। সেই উন্নয়নের পক্ষেই রায় দিয়েছেন এলাকার মানুষজন।
ইতিমধ্যেই প্রায় ১০০০ জন প্রকল্পে পুনর্বাসন প্যাকেজে পুলিশ ও গ্রুপ ডি তে চাকরি পেয়েছেন। অন্যদিকে গনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির কাছ থেকে ছিনিয়ে নিল তৃণমূল। রামপুর এবং আঙারগড়িয়া এই দুটি নতুনভাবে ক্ষমতায় এল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। প্রকল্প এলাকার তৃণমূল নেতা কালীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,” ডেউচা পাচামি কয়লা শিল্প এবং এলাকার উন্নয়নের জন্যই মানুষজন তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষেই রায় দিয়েছেন”।