পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: হিমাচল, উত্তরাখণ্ড, দিল্লি, ইউপি এবং পাঞ্জাবে গত ৬ দিন ধরে লাগাতার বৃষ্টি জারি রয়েছে। হিমাচলে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৩৯ জায়গায় ধস নেমেছে। ব্যাস নদীর জলের তোড়ে ভেসে গেছে বাড়ি-ঘর, সেতু। গত ৭২ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় মোট ৭৬ জন প্রাণ হারিয়েছে। ইউপিতে ৩৪, হিমাচলে ২০, জম্মু-কাশ্মীরে ১৫, দিল্লিতে ৫ এবং হরিয়ানা এবং রাজস্থানে ১ জন করে মারা গিয়েছে। অন্যদিকে, উত্তরাখণ্ডে মধ্যপ্রদেশের একটি ট্যুরিস্ট গাড়ির পাথর এসে পড়ে। এই ঘটনায় ইন্দোরের চারজনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত অন্তত ১০। দিল্লিতে যমুনার জলস্তর বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। মঙ্গলবার সকালে যমুনার জলস্তর ২০৬.৩২ মিটার উচ্চতায় জল প্রবাহিত হচ্ছে যা ১৯৭৮-এর পর প্রথম। দিল্লির পুরনো রেল ব্রিজে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। জম্মুতে লাগাতার বৃষ্টির কারণে চতুর্থদিনও অমরনাথ যাত্রা স্থগিত রয়েছে।
আবহাওয়া দফতর জয়পুর আজ রাজ্যের শহরগুলিতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে। ফোরকাস্ট অনুযায়ী বারাং, ঝালাবাড়, কোটায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে, টোক, সরাই মাধোপুর, দুঙ্গারপুর, বুন্দি, বাংসবাড়া জেলায় হলুদ সতর্কতা রয়েছে।
রাজধানী রায়পুরে টানা সোমবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত বৃষ্টি মানুষকে গরম থেকে স্বস্তি দিয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে কয়েকটি জেলার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
হরিয়ানায় লাগাতার বৃষ্টিতে ৬০০ গ্রাম জলের তলায়। স্বরাষ্টমন্ত্রী অনিল ভিজের জেলা আম্বালা ৪০ শতাংশ জলের তলায়। রাজ্যের ৭ নম্বর জাতীয় সড়ক জলের নিচে।
ফলে, দিল্লি, পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। রাজ্যের ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। পাঞ্জাবে বৃষ্টির সতর্কতা জারি না হলেও পূর্ব মালবার কয়েকদিন জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। অমৃতসরের গ্রাম ঘোনেওয়াল থেকে ২১০ জন কৃষককে উদ্ধার করা হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। মঙ্গলবারও ৬৫ জেলায় বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এরমধ্যে ১২ জেলা বহরাইচ, বলরাপুর, বারাবাংকী, বরেলি, গোন্ডা, লখীমপুর, খিরি, মহারাগঞ্জ, পীলীভিত, শাহজাহানপুর, সিদ্ধার্থনগর, সীতাপুর এবং শ্রাবস্তীতে ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্র্কতা জারি রয়েছে।
প্রবল বৃষ্টিতে হিমাচল প্রদেশ। তিনদিনের বৃষ্টিতে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।