পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় জেলায় জেলায় চলছে ভোট গণনা। গত ৮ জুলাই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। বহু জায়গাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর গা ছাড়া মনোভাব ও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কমিশন বিবৃতি দেয় রাজ্য জুড়ে ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে।
গণনা শুরু হতে একের পর এক রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত জেলার বিভিন্ন প্রান্ত। পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে গণনাকেন্দ্রে যেতে গিয়ে বাধার মুখে বিরোধীরা। অভিযোগের আঙুল উঠেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। অপর দিকে হাওড়ার বালি-জগাছা ব্লকের দুর্গাপুর পল্লীমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়ে গণনা কেন্দ্রে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। সিপিএম এবং বিজেপি এজেন্টদের জামা কাপড় ছিঁড়ে দেওয়া এজেন্টদের মেরে মাথা ফাটিয়ে বুথ থেকে বার করে দেওয়া হয়েছে বলে এখানে অভিযোগ। ধুন্ধুমার কাণ্ড হাওড়ার বালি-জগাছা দুর্গাপুর পল্লীমঙ্গল বিদ্যালয় চত্বরে।
হাওড়া সাঁকরাইলের সিকম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা বাহিনীর লাঠিচার্জ। ভোট গণনাকেন্দ্রের গেটে বিপুল সংখ্যক মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। ভোটকেন্দ্রে ঢোকার জন্য তারা নিজেদের মধ্যে মারামারি শুরু করেন বলে অভিযোগ। এরপরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে লাঠচার্জ করে নিরাপত্তা বাহিনী।
মুর্শিদাবাদের হরিহর পাড়া থানায় তৃণমূল প্রার্থী এবং তাঁর স্বামীকে মারধরের অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। কাটোয়ায় বাম কর্মীদের ওপরে হামলার অভিযোগ। হাসপাতালে ভর্তি করা হল এক বাম কর্মীকে। ডায়মন্ড হারবারের ফকির চাঁদ কলেজে ভোট গণনা কেন্দ্রের বাইরে বোমাবাজি। পাশাপাশি বীরভূমের নানুরে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ বামেদের। গণনা কেন্দ্রে কংগ্রেস এবং বাম কাউন্টিং এজেন্টকে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ।