পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: দীর্ঘ ৩৫ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করার পর গত বৃহস্পতিবার ইসরাইলি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা বশির আল-খতিব। তবে ইসরাইলি কারাগারে থেকে তাঁর বয়স ৬০-এর গণ্ডি পেরিয়ে গেছে। অস্ত্র ও বিস্ফোরক রাখা এবং বসতি স্থাপনকারীদের হত্যার মিশনে যুক্ত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছিল ইসরাইলি পুলিশ। ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স সেন্টার ফর স্টাডিজ নামের একটি সংস্থা জানায়, ১৯৮৮ সালের ১ জানুয়ারি বশির আল-খতিবকে রামাল্লা শহর থেকে গ্রেফতার করেছিল ইসরাইলি বাহিনী। ২৫ বছর বয়সী বশিরের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক রাখার অভিযোগ আনা হয়েছিল। সেইসঙ্গে বসতি স্থাপনকারীদের হত্যার একটি মিশনে যুক্ত থাকার অভিযোগও আনা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগে করা মামলার রায়ে ইসরাইলি আদালত বশিরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। তবে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর ২০১২ সালে তার সাজা কমিয়ে ৩৫ বছর করে ইসরাইলি আদালত। সেই সাজা পূর্ণ করার পর গত বৃহস্পতিবার তিনি নাকাব মরু কারাগার থেকে মুক্তি পান। ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স সেন্টার জানায়, ইসরাইলের কারাগারে থাকা অবস্থায় বশির আল-খতিব কারাগার কর্তৃপক্ষের দ্বারা নানা ধরনের হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ২০১১ সালে ওয়াফা আল-আহরার বন্দি বিনিময়ে চুক্তিতেও বশিরের নাম যুক্ত করতে রাজি হয়নি ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। প্রিজনার্স সেন্টার জানায়, বশির আল-খতিব বিবাহিত এবং তার দুই ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে। বর্তমানে বশিরের আটজন নাতি-নাতনি রয়েছে। উল্লেখ্য, এখনও ইসরাইলের কারাগারে বন্দি রয়েছেন ৪,৯০০রও বেশি ফিলিস্তিনি। এরমধ্যে ৬১ জন নারী ও ১৬০ শিশু রয়েছে।