পারিজাত মোল্লা: সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফে এক মানবিক নির্দেশ জারি করা হয়। এদিন কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, ‘ যাঁরা শারীরিক ভাবে অক্ষম, তাদের ভোটের কাজে পোলিং অফিসার হিসাবে ব্যবহার করতে পারবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন’।
আসলে শারীরিকভাবে অক্ষম হওয়া সত্ত্বেও কাউকে কাউকে ভোটের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্যের সরকারি শিক্ষকদের একাংশ, শিক্ষানুরাগী যৌথ মঞ্চ।
সেই মামলাতেই এদিন স্পষ্ট নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।নির্বাচন কমিশনের দাবি, পঞ্চায়েত ভোট দোরগোড়ায় চলে এলেও পোলিং অফিসারদের নিয়ে দোলাচল চলছে। ভোট গ্রহণের দায়িত্ব নেওয়ার লোকের অভাব দেখা দেওয়ায় নাকি শারীরিকভাবে অক্ষম সরকারি শিক্ষকদেরও ডাকা হয়েছিল’।
কিন্তু শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, এমন কাউকে ভোটের দায়িত্বে নিতে পারবে না নির্বাচন কমিশন’। তবে আদালতের রায় আসার পরেও দুশ্চিন্তা কাটছে না এই সংগঠনের। তাদের বক্তব্য, এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে নোটিশ জারি করতে হবে। তা না হলে আবার আদালত অবমাননার মামলা করা হবে তাদের বিরুদ্ধে। শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।