পুবের কলম প্রতিবেদক: বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্যত মরতে মরতে প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন। উত্তরবঙ্গে দলের হয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে ফেরার পথে আকাশেই দুর্যোগের মুখে পড়ে তাঁর হেলিকপ্টার।
কোনওরকমে হেলিকপ্টারের মুখ ঘুরিয়ে সেভকে বায়ুসেনার ঘাঁটিতে জরুরি অবতরণ করে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার। সেই সময় হেলিকপ্টার থেকে নামতে গিয়েই পায়ে ও কোমরে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী। এখন কলকাতায় কালিঘাটের বাড়িতে চলছে তাঁর চিকিৎসা। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, লগিামন্টে ইনজুরি থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে দ্রুত সুস্থ করতে ৫-৬ ধরনের থেরাপিতে জোর দিয়েছেন চিকিৎসকরা। শুক্রবার প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে কালীঘাটের বাসভবনে মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসা হয়।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর ফিজিওথেরাপি করার জন্য চিকিৎসকেরা একাধিক আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে ছিল এসএসকেএম হাসপাতালের একটি বিশেষ মেডিক্যাল টিম-ও। মুখ্যমন্ত্রীর বাঁ পায়ে এবং কোমরে যে মারাত্মক চোট রয়েছে সেই চোট যাতে কোনওভাবে বৃদ্ধি না পায় সেদিকেই এখন জোর দিয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতাল’র ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডাঃ রাজেশ প্রামাণিক। চিকিৎসকমহল সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর আঘাতজনিত ব্যথা কিছুটা কমেছে। অবস্থার সামান্য উন্নতি হয়েছে।
এদিকে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে সম্ভবত আর পাওয়া যাবে না মুখ্যমন্ত্রীকে। তবে নির্বাচনী প্রচার সীমা শেষ হওয়ার আগে বাড়ি থেকে সোস্যাল মিডিয়া মারফত আমজনতা এবং দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বার্তা দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে দলের লক্ষ্য যেভাবেই হোক একুশে জুলাইয়ের আগে তাঁকে সুস্থ করে তোলা যাতে সেদিনের মহাসভার মহামঞ্চে তাঁর দেখা পান বাংলার জনতা।