পারিজাত মোল্লা: রাজ্যে বিরোধী দলগুলির দাবি জানালেও পঞ্চায়েত ভোটের দফা বাড়ছে না। ভোট হবে এক দফাতেই। এ ব্যাপারে ঢুকতে চাইল না কলকাতা হাইকোর্টও। তবে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম নির্দেশে জানিয়ে দিলেন, -‘ভোট শান্তিুপূর্ণ ও অবাধ করতে রাজ্য সরকার যেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে ২০০ শতাংশ সহযোগিতা করে’।
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে আদালত অবমাননা মামলার এদিন শুনানি চলে । ওই শুনানিতে রাজ্য সরকারের তরফে আইনজীবী ছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, -‘ আপনারা এক দফায় ভোট করাচ্ছেন। এর আগে কয়েক দফায় ভোট হয়েছিল। তবে এবার যেহেতু এক দফায় ভোট, তাই ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে আপনাদের (রাজ্য সরকারের) পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা দরকার। আপনারা যেন ২০০ শতাংশ সহযোগিতা করেন’।
প্রধান বিচারপতি যখন এই নির্দেশ দিচ্ছেন, তখন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাতে সম্মতি দেন।
পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে আগেই নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, -‘কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে রাজ্য নির্বাচন কমিশন যথাযথ সাহায্য করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। কমিশন কবে কী করবে সেই সব খুঁটিনাটিতে আমরা যাচ্ছি না। তবে কমিশনকে মাথায় রাখতে হবে যে নির্বাচন ব্যবস্থার উপর যেন মানুষের আস্থা থাকে। ভোট যেন শান্তিপূর্ণ ও অবাধ হয়’।
প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে বলেন, -‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক চিঠি দিয়ে জানিয়েছে বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে তারা ঠিকমতো লজিস্টিক্স সাপোর্ট পাচ্ছে না। বাহিনীর জন্য ন্যূনতম পরিষেবার ব্যবস্থা করতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। আদালত যে নির্দেশ দিয়েছে তা মেনে চলতে হবে’।
এখন দেখার পঞ্চায়েত নির্বাচনে কি ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন থাকবে? নাকি হাইকোর্টের নির্দেশ মতো আরও ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাতে হবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কে। হাতে আর মাত্র কয়েক দিন বাকি, তাতে বাহিনী অনিশ্চয়তা ক্রমশ বাড়ছে রাজ্যে।