পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: শুক্রবার এক ছাদের নিচে বসল জম্মু-কাশ্মীর থেকে তামিলনাডু, বাংলা থেকে মহারাষ্ট্র। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে একজোট হল দেশের ১৭ টি গুরুত্বপূর্ণ দল। কিন্তু মোদি বিরোধী এই মহাজোটের বৈঠককে ‘ফোটো সেশন’ বলে কটাক্ষ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
তিনি বলেন, বিরোধীরা জোট করেও ২০২৪-র লোকসভায় নরেন্দ্র মোদিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারবে না। উল্টে বিজেপি ৩০০ টি আসনে জয়ী হয়ে নতুন করে ক্ষমতায় ফিরবে। জম্মুতে ড. শ্যামা প্রসাদ মুখার্জির মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে ‘বলিদান দিবস’-র আয়োজন করেছিল বিজেপি। সেখানেই বক্তৃতা দেওয়ার সময় বিরোধী মহাজোটের বৈঠককে কটাক্ষ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, দুদিনের জম্মু ও কাশ্মীর সফরে রয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদিকে হারানোর জন্য বিরোধীরা হাত মেলাচ্ছে। কিন্তু আমি আগেই বলে রাখছি, এই জোট টিকবে না। আর টিকলেও ওরা নরেন্দ্র মোদিকে হারাতে পারবে না।’
শাহ বলেন ১৯৪৭-২০১৪ পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীর শাসন করেছে রাহুল গান্ধি, ফারুখ আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতির পরিবার। এই সময় সেখানে ৪২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই মৃত্যুর জন্য তিনি এই তিন নেতার দলকেই দায়ী করেছেন। তাঁর মতে, নরেন্দ্র মোদির জমানায় ওই রাজ্যে সন্ত্রাস কমেছে আর তার জেরে মৃত্যু হারও কমেছে।
শাহ বলেন, বিজেপি সরকার ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করায় শ্যামা প্রসাদের আত্মা শান্তি পেয়েছে। কারণ শ্যামাপ্রসাদ ৩৭০ ধারার বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি চাননি, এক দেশে দুই পতাকা, দুই সংবিধান বা দুইজন শাসক থাকুক।
শাহ বলেন, ১৯৫৩ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে প্রবেশ করার জন্য অবৈধভাবে আটক করা হয় শ্যামা প্রসাদকে, এরপর তাঁকে জেলবন্দি করে মেরে ফেলা হয়।
শাহর মতে, বিজেপি সরকার ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করার পর থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে হিংসা কমেছে। উন্নয়ন হচ্ছে। সেখানকার যুবকরা পাথরের বদলে হাতে ল্যাপটপ-বই তুলে নিচ্ছে।
চব্বিশের লোকসভায় জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের সমর্থন চেয়ে অমিত শাহ বলেন- ‘রাহুল বাবা ও মোদির মধ্যে কোনও তুলনা হয় না। রাহুল বাবা সবসময় বিরোধীতা করেন। সেটা ৩৭০ ধারা হোক, রাম মন্দির হোক বা তিন তালাক।’
উল্লেখ্য, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধিকে আগে ‘পাপ্পু’ বলেই ডাকতেন অমিত শাহ। সম্প্রতি তিনি রাহুলকে রাহুল বাবা বলে ডাকা শুরু করেছেন।