কৌশিক সালুই, বীরভূম:- জমির দখলদারি সংক্রান্ত বিবাদে এক ৮০ বছর বয়সী বৃদ্ধের বিরুদ্ধে ৮ বছর বয়সী শিশু কন্যাকে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ করা হয়েছিল। এবার সেই ঘটনা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় অভিযোগকারীকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলেন বিচারক। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বীরভূমের সিউড়ি পকশো বিশেষ আদালতে।
আদালত সূত্রে জানাতে গত বছর ৩১ জুলাই দুবরাজপুর থানায় ব্যোমকেশ চক্রবর্তীর নামে আশি বছর বয়স্ক ব্যক্তির বিরুদ্ধে শিশু কন্যাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন তার বাবা। ঘটনার পর দুবরাজপুর থানার পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে এবং তিনি সিউড়ি সংশোধনাগারে বন্দী ছিলেন তারপর থেকেই। এক বছর মামলার শুনানি চলার পর ওই মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অপরাধে ভারতীয় দণ্ডবিধির পকশো আইনের ২২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। তাতে ওই শিশু কন্যার বাবাকে ছয় মাসের জেল এবং ১০০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাসের কারাবাসের সাজা দেন।
জানা গিয়েছে ব্যোমকেশ চক্রবর্তী কোনও একটি জমি কিনেছিলেন এবং সেই জমির চাষবাস করতেন ওই নাবালিকা শিশু কন্যার বাবা। সেই জমির চাষবাস ছেড়ে দেওয়ার চাপ দিতেই ওই বয়স্ক ব্যক্তির বিরুদ্ধে শিশু কন্যাকে যৌন নির্যাতনের মিথ্যা মামলার ফাঁসানো হয়। ব্যোমকেশ চক্রবর্তীর আইনজীবী সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন,” ওই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ নেওয়ার পর বিষয়টি আদালত বুঝতে পারে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা হয়েছে। এদিন পকসো বিশেষ আদালতের বিচারক রতন কুমার দাস মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অপরাধে নাবালিকা শিশু কন্যার বাবাকে ওই সাজা ঘোষণার নির্দেশ দেন”।
এক বৃদ্ধাকে শিশুকন্যার যৌন নির্যাতনের মিথ্যা মামলার ফাঁসানোর অপরাধে বাবাকে সাজার নির্দেশ সিউড়ির আদালতের।