পুবের কলম প্রতিবেদক: পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু কমিশনের নয়া চেয়ারম্যান হয়েছেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ ও পুবের কলম সম্পাদক আহমদ হাসান ইমরান। তিনি মমতাজ সংঘমিতার স্থলাভিষিক্ত হলেন। ২১ জুন রাজ্যপালের পক্ষ থেকে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের সচিব গোলাম আলি আনসারি। তিন বছরের জন্য ইমরানকে মাইনোরিটিজ কমিশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ রাজ্যের বিশিষ্টজনেরা তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। মুসলিম, খ্রিস্টান, জৈন, বৌদ্ধ, শিখ, পারসি ধর্মাবলম্বীরা এ রাজ্যে সংখ্যালঘু তালিকায় রয়েছেন। একইরকম ভাবে ভাষাগত সংখ্যালঘুও রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। সংখ্যালঘু কমিশনের তালিকা অনুয়ায়ী বাংলায় যারা উর্দু, হিন্দি, নেপালি, গুরুমুখী, ওড়িয়া, সাঁওতালি ভাষায় কথা বলেন তারা ভাষাগত সংখ্যালঘুর তালিকায় আছেন।
যদি এদের কোনও রকম ধর্মীয় বা ভাষাগত সমস্যা হয়, তবে তারা অভিযোগ জানাতে পারেন কমিশনে। সংখ্যালঘুদের সমস্যা জানতে জেলায় জেলায় যায় কমিশন। পশ্চিমবঙ্গ মাইনোরিটি কমিশন প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৯৬ সালে।
১৯৯২ সালে ১৮ ডিসেম্বর রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে একটি ডিক্লারেশন পাশ হয়েছিল। তারপর থেকেই বিভিন্ন দেশ সংখ্যালঘুদের জন্য আলাদা করে কমিশন তৈরি করেছে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যও সংখ্যালঘুদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় ১৯৯৬ সালে এই কমিশন তৈরি করে। তারই গুরুদায়িত্ব পেলেন আহমদ হাসান ইমরান। আগামীদিনে রাজ্যের সংখ্যালঘুদের স্বার্থে নানা উন্নয়নমূলক কর্মসূচি হাতে নেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।