পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: খোলা বাজারের থেকে চড়া দামে করোনা রোগীদের ওষুধ বিক্রি করেছে মুম্বাইয়ের বৃহন্মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (বিএমসি)। ইডি সূত্রে এমনই বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছে। তদন্তকারি সংস্থা ইডি সূত্রে খবর, বিএমসি কোভিড রোগীদের কাছ থেকে ২৫-৩০ শতাংশ বেশি দামে ওষুধ দিয়েছে। ইডির তথ্য অনুযায়ী মেয়রের স্বাক্ষরিত চুক্তির অধীনে এই নির্দিষ্ট সংস্থা করোনায় মৃত রোগীদের দেহ রাখতে ২০০০ টাকায় ব্যাগ সরবরাহ করা হয়েছিল। তখন সেই একই কোম্পানি বিএমসির কেন্দ্রীয় ক্রয় বিভাগে ৬৮০০ টাকায় বডি ব্যাগ সরবরাহ করেছে।
শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সুজিত পাটকরের বিরুদ্ধে নথিভুক্ত কোভিড সেন্টার কেলেঙ্কারির মামলায় বুধবার মহারাষ্ট্রের একাধিক স্থানে ইডি তল্লাশি চালানোর পরে বিএমসির লেনদেনের অনিয়ম সামনে আসে। যুবসেনা ইউবিটি সেক্রেটারি সুরজ চ্যাবন, সেনা ইউবিটি নেতা আদিত্য ঠাকরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী, আইএএস অফিসার সঞ্জীব জয়সওয়ালের বাড়িতেও তদন্ত সংস্থা তল্লাশি চালায় ইডি। উল্লেখ্য, ইডি ২০২২ সালের আর্থিক তছরূপের ঘটনায় লাইফলাইন হাসপাতাল ম্যানেজমেন্ট ফার্মের পাটকর সহ তিন অংশীদারের বিরুদ্ধে মামলা শুরু করে। বিজেপি নেতা কিরীট সোমাইয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ইডি সূত্রে খবর, লাইফলাইন হাসপাতালের ‘জাম্বো কোভিড’ সেন্টারগুলিতে ডাক্তার ও হাসপাতাল কর্মীদের যে সংখ্যা দেখানো হয়েছিল, তার থেকে ৬০-৬৫ শতাংশ কম ছিল কর্মীদের সংখ্যা। চিকিৎসকদের নামের ভুল তালিকা দেওয়া হয়েছিল। যারা তাদের কর্মী নয় তাদের নামও তালিকায় দেওয়া হয়েছিল। ইডি মহারাষ্ট্রজুড়ে তল্লাশি চালিয়ে ৫০টি বেনামি সম্পত্তি, ৬৮. ৬৫ লক্ষ টাকা, ১৫টি কোটির ফিক্সড ডিপোজিট, অভিযানে ২.৪৬ কোটি টাকার বেশ কিছু ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেমন মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ইত্যাদি ছাড়াও বিভিন্ন অপরাধমূলক নথিও বাজেয়াপ্ত করেছে।