পারিজাত মোল্লা : মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের এজলাসে উঠে পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন নিয়ে সন্ত্রাস বিষয়ক মামলা। চলতি পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে অশান্তির ও হিংসার ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিরোধী দলগুলি। সেই মামলায় গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থারের নির্দেশ দিয়েছিলেন, -‘ যাঁরা মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে বাধা পাচ্ছেন, তাঁদের এসকর্ট করে নিয়ে গিয়ে মনোনয়ন করাতে হবে কলকাতা পুলিশকে’।পুলিশের নিরাপত্তার বেড়াজালের মধ্যেই হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছিল।ভাঙড়, ক্যানিং সহ বিভিন্ন এলাকায় পঞ্চায়েতের মনোনয়ন পর্বে অশান্তি নিয়ে ১০ দিনের মধ্যে পুলিশকে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। ওইসব এলাকায় বিরোধী প্রার্থীরা কেন মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি? তার বিস্তারিত হলফনামার মাধ্যমে পুলিশকে জানাতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ। আদালত সুত্রে প্রকাশ, রিপোর্ট পেশের তিনদিনের মধ্যে মামলাকারীরা তাঁদের বক্তব্য জানাবেন। মামলার পরবর্তী শুনানি দু’সপ্তাহ পর। একইসঙ্গে ক্যানিংয়ে এক বিরোধী সমর্থকের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা ও সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাজাহান শেখের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করা হয়েছে এই মামলায়। এ ব্যাপারে ওইসব থানার ওসিদেরও সতর্ক করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ।এদিন এই মামলার শুনানিতে সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার রাজ্যের উদ্দেশে বলেন -‘ ভাঙড়, কাশীপুর, হাড়োয়া, বসিরহাটে আদালত নির্দেশ দেওয়ার পরেও নিরাপত্তা দিয়ে আবেদনকারীদের মনোনয়ন পেশের ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ। এই অবস্থায় জায়গায় জায়গায় বোমাবাজি, গোলাগুলির অভিযোগ আসছে, তাহলে পুলিশ কী করছিল?’ এর পাশপাশি পুলিশকে হাইকোর্টের নির্দেশ, -‘ গত ১৫ ও ১৬ জুনের নির্দেশ পালনের ক্ষেত্রে পুলিশের কী ভূমিকা ছিল? তা জানাতে হবে। নিরাপত্তার জন্য ক্যানিং, মিনাখাঁ, ভাঙড়, ন্যাজাট, জীবনতলা এলাকায় মনোনয়নের জন্য কত পরিমাণ পুলিশ কোথায় দেওয়া হয়েছিল, কতজন গ্রেফতার হয়েছে ওই গোলমালের আগে ও পরে, সেসবও জানাতে বলা হয়েছে। একঈসঙ্গে সব থানা এলাকা ও বিডিও অফিসের ১৪ থেকে ১৬ জুনের সিসিটিভি ফুটেজ পেন ড্রাইভে আদালতে জমা দিতে হবে বলে আদেশনামায় উল্লেখ্য রয়েছে ।