পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই নানা কারণে ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ছে মোদির বিজেপি সরকার। এর আগে পেগাসাস দিয়ে বিরোধীদের উপর নজরদারির অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। সোশ্যাল মিডিয়াকে নিজেদের স্বার্থে বিভাজন ছড়ানোর কাজেও ব্যবহার করে অমিত শাহের দল, এমন অভিযোগও এসেছে। এবার খোদ টুইটারের প্রাক্তন সিইও ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরোসির চাঞ্চল্যকর সাক্ষাৎকার নিয়ে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের ওপর চাপ বাড়ালো কংগ্রেস।
টুইটারের প্রাক্তন সিইও-কে ওই সাক্ষাৎকারের সময় প্রশ্ন করা হয়, তিনি কোনও বিদেশি সরকারের কাছ থেকে কোনোরকম চাপের সম্মুখীন হয়েছিলেন কি না। এই প্রশ্নের উত্তরে জ্যাক ডরোসি জানান, উদাহরণ হিসেবে ভারতের কথা বলা যায়। কৃষক আন্দোলনের সময় ভারত সরকার অনেক টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিতে বলেছিল। যারা সরকারের সমালোচনা করছে সেরকম বেশকিছু সাংবাদিকদের টুইটার হ্যান্ডেল বন্ধ করতে বলা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন তিনি।
ডরোসি আরও বলেন, সরকারের কথা না শুনলে হুমকি দেওয়া হয় যে ভারতে টুইটার কোম্পানিই বন্ধ করে দেওয়া হবে। এমনকি টুইটারের কর্মীদের বাড়িতে তল্লাশিও চালানো হবে। তার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে কেন্দ্র। অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন, নির্বাচন আসছে। তাই এসব সাক্ষাৎকারের প্রয়োজন হয়ে পড়ছে।
কংগ্রেসের নীরজ কুন্দন এক টুইট-বার্তায় বলেন, বিজেপি গণতন্ত্রের হত্যাকারী, এটা বারবার প্রমাণিত হচ্ছে। টুইটারের প্রাক্তন সিইও, জ্যাক ডরোসি জানিয়েছেন, কৃষক আন্দোলনের সময় ভারত সরকারের পক্ষ থেকে টুইটারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল এবং বলা হয়েছিল যদি না সরকারের নির্দেশ না মানা হয় তাহলে টুইটার বন্ধ করে দেওয়া হবে,কর্মীদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হবে। বিরোধীদের চাপে জেরবার বিজেপি ডরোসির বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেয় সেটাই দেখার বিষয়।