পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ওড়িশা বালেশ্বরে অভিশপ্ত ট্রেন দুর্ঘটনায় উদ্বিগ্ন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্ঘটনার পর থেকেই ওড়িশা সরকারকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন মমতা। রাতেই মানস ভুইয়াঁর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল যায় দুর্ঘটনাস্থলে। এছাড়াও বাংলার তরফে চিকিৎসক, নার্স সহ অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়। এদিন সকালেই ওড়িশার উদ্দেশে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে গিয়ে হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। নিহত ও আহতদের উদ্দেশে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন।
এক সময় রেলমন্ত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সেই দুর্ঘটনার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রেলওয়ে বিভাগ আমার সন্তানের মতো। তাই আমি পরামর্শ দিতে পারি। এটা রাজনীতি করার সময় নয়। এখানে একটি অ্যান্টি-কলিউশন ডিভাইস রাখত, তাহলে এত লোক মারা যেত না, কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীর সামনেই সমালোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মমতা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, মৃতের সংখ্যা হয়তো ৫০০ ছাড়াতে পারে। নিহতদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ, গুরুতর আহতদের ১ লক্ষ ও আহতদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা মমতার।এদিন সকালেই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করে মমতা বলেন, এখন রাজনীতি করার সময় নয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন ‘অ্যান্টি কোয়ালিশন ডিভাইস ছিল না। আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম অ্যান্টি কোয়ালিশন ডিভাইস এনেছিলাম। যা নির্দিষ্ট দূরত্বে একই ট্র্যাকে থেমে যাওয়া ট্রেনগুলিকে নিশ্চিত করে। অশ্বিনী বৈষ্ণবকে নিশানা করে মমতা বলেন, আপনি এখন এখানে আছেন, আমি বলতে চাই এই ট্রেনে কোনো অ্যান্টি-কোয়ালিশন ডিভাইস ছিল না। এই ধরনের প্রযুক্তি থাকলে ঘটনা এড়ানো সম্ভব হত ‘।
বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের রেলমন্ত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, আজকাল রেল বাজেট পেশ হয় না। রেল আমার কাছে সন্তানের মতো। আমি এই পরিবারের সদদ্য। পরামর্শ দিতে প্রস্তুত।