পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: জমিনে নামায পড়ার পদ্ধতি সবাই জানে। তবে মহাকাশে ভেসে ভেসে কি ভাবে নামায ও অজু আদায় করা যায়! তা নিয়ে সবসময় জনসাধারণের মনে কৌতূহল লেগেই থাকে। সম্প্রতি সমাজ মাধ্যমে এসে এমন সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন সউদি আরবের নভোশ্চর আলি আল-কারনি। মহাকাশে অজু ও নামায পাঠ করে দেখালেন তিনি। সম্প্রতি সমাজ মাধ্যমে এই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে তিনি বলছেন, ‘মূলত মহাকাশে নভোশ্চররা সব সময় ভাসমান থাকেন। তাই নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় পা স্থির করে কিবলা নির্ধারণ করা হয়।’
এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (আইএসএস) একটি লোহার টুকরো দেখিয়ে বলেন, ‘এর নিচে পা স্থির রেখে নামায পড়া হয়।’
অজু প্রসঙ্গে আল-কারনি জানান, মহাকাশ স্টেশনে বিশেষ ব্যাগে পানি রাখা হয়।সেখান থেকে তা বুদবুদের মতো হয়ে বের হয়। অতঃপর বুদবুদগুলো একটি তোয়ালেতে একত্র করলে তাতে সিক্ততা তৈরি হয়। সেই ভেজা তোয়ালে দিয়ে শরীরের অঙ্গ মোছা হয়। মূলত মাসেহ পদ্ধতিতে অজুর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
উল্লেখ্য, গত ২১ মে সউদি আরবের প্রথম মহিলা নভোশ্চর রায়ানা বারনাভি এবং আলি আল-কারনি মহাকাশের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন।
ما بين تكبيرة وركعة وسجود .. كيف نصلي في الفضاء؟ 🕋
شرحتها لكم 👇🏻#نحو_الفضاءhttps://t.co/DzLTBZpaBi
This is how we get prepared and pray in space.#ksa2space
— Ali Alqarni (@AstroAli11) May 28, 2023
ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে (আইএসএস) বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বুধবার (৩১ মে) ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারে ফিরে আসেন।
মহাকাশে অবস্থানকালে সেখান থেকে পবিত্র মক্কা ও মদিনার উজ্জ্বল দৃশ্য ধারণ করেন টুইটারে ভিডিয়ো শেয়ার করেন নভোচারী রায়ানা বারনাভি।তা ছাড়া সউদি আরবের রাজধানী রিয়াদের দৃশ্য ধারণ করেন আলি আল-কারনি।
প্রসঙ্গত, গত চার দশকে অনেক মুসলিম নভোচারী মহাকাশে গেছেন।তারা সেখানে বৈজ্ঞানিক গবেষণার পাশাপাশি নামায, রোযা ও কুরআন পড়েছেন।
১৯৮৫ সালে প্রথম আরব ও মুসলিম নভোচারী হিসেবে সউদি যুবরাজ সুলতান বিন সালমান মহাকাশে যান। মহাকাশে অবস্থানকালে বিভিন্ন ইসলামী দায়িত্ব পালনের কথা তিনি তার ‘সেভেন ডেইজ ইন স্পেস’ বইয়ে বর্ণনা করেছেন।
بعد ما خلصت تجاربي لليوم صادف مرورنا فوق مكة المكرمة ،
نور على نور ✨ #نحو_الفضاءMakkah from the space ✨#KSA2Space pic.twitter.com/rh3kZnJw0N
— RAYYANAH BARNAWI (@Astro_Rayyanah) May 26, 2023
২০০৬ সালে ইরানি বংশোদ্ভূত আনুশেহ আনসারি প্রথম মুসলিম মহিলা হিসেবে মহাকাশে যান। ২০০৭ সালে মহাকাশে রমযানের কয়েক দিন ও ঈদ উদযাপন করেন মালয়েশিয়ার নভোচারী শেখ মুসজাফর শাকর। ২০১৯ সালে আমিরাতের প্রথম নভোচারী হাজ্জা আল মানসুরি মহাকাশে যান।