দেবশ্রী মজুমদার, বোলপুর তিন ছাত্রের সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা। ইতিমধ্যেই কুড়ি ঘন্টা অতিক্রান্ত চলছে ঘেরাও। শেষ না দেখে ছাড়বে না ছাত্র ছাত্রীরা। সূত্রের খবর আন্দোলন জোরদার করতে এস. এফ. আই এর রাজ্য সভাপতি প্রতিকুর রহমান বিশ্বভারতীতে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের সমর্থনে অবস্থান মঞ্চে হাজির থাকবেন শনিবার বিকাল পাঁচটা নাগাদ। ইতিমধ্যে এদিন সকালে ছাত্র আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে গেছে বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি ও বোলপুর শাখার গণতন্ত্র অধিকার রক্ষা সমিতি বা এপিডিআর। বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুনীল সিং বলেন, উপাচার্যর বিরুদ্ধে যাঁরাই আন্দোলন করবে, আমরা তাদের সমর্থন জানাব।
একইভাবে এপিডি আরের শৈলেন মিশ্র বলেন, বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় বিশ্ব বিদ্যালয় হিসেবে সেখানে কেন্দ্র সরকার মনোনীত উপাচার্য এসেছেন। এসেই তিনি কেন্দ্র সরকারের মূল উদ্দেশ্য সাকার করতে কাজে নেমে পড়েছেন। তার বিরুদ্ধে মুখ খুললেই শাস্তি। এর প্রতিবাদে আমাদের সমর্থন আছে। তাছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বলাকা গেটের সামনে সহ দুটি রাস্তায় সাধারণ মানুষের চলাচলের পথ বন্ধ করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। শনিবার শান্তিনিকেতন থানায় এব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেছি।
শুক্রবার রাত্রি ৮ টা থেকে অস্থায়ী মঞ্চ বেঁধে উপাচার্য বাসগৃহ ঘেরাও কর্মসূচি নেয় ছাত্র ছাত্রীরা। তার আগে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয় দপ্তর ঘেরাও করে ফেলে তারা।
মাত্র ২ জন আধিকারিক কে দপ্তরে আটকে রাখতে সফল হলেও, রাত্রী ১০ টা নাগাদ দুই আধিকারিক তন্ময় নাগ, দেবাশিস রায় বেরিয়ে যেতে সমর্থ হন। রাতেই বিশ্বভারতীর আন্দোলন কারী ছাত্র ছাত্রীদের উপর গাড়ি চাপানোর অভিযোগে বিশ্বভারতীর ওই দুই আধিকারিকের নামে শান্তিনিকেতন থানাতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
তারপর আন্দোলনরত ছাত্র ছাত্রীরা বিশ্বভারতীর উপাচার্য গৃহ পূর্বিতার সামনে মঞ্চ করে অবস্থান ধর্ণামঞ্চ তৈরী করে সারা রাত বসে থাকে।ছাত্র ছাত্রীদের সমর্থনে ‘ভিবিউফা’ অধ্যাপক সংগঠন সমর্থন এগিয়ে আসে। বিশ্বভারতীর অর্থনীতি বিভাগের আধ্যপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, “গ্যাগ” অগণতান্ত্রিক বিধি নিষেধ ভেঙে ছাত্র ছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়েছি। গণমাধ্যমের কাছে আমরা উপাচার্যের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছি।
অন্যদিকে, বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষ উপাচার্য গৃহের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে চারিদিকে অতিরিক্ত বহু সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছে।