পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বাজার থেকে এবার ২০০০ টাকার নোট উঠে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)। আজ থেকেই শুরু সেই প্রক্রিয়া। তবে তাড়াহুড়োর প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। ২০০০ টাকার নোট বদলের জন্য নির্দেশিকাও জারি করেছে আরবিআই। সেপ্টেম্বরের পরেও এই নোটটি বৈধ থাকবে। আর যেহেতু এই নোট এখনও লিগ্যাল টেন্ডার, তাই দোকানগুলি ২০০০ টাকার নোট নিতে বাধ্য বলেও জানান শক্তিকান্ত দাস। নোটবন্দির সময় মানুষের মধ্যে একটি আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল, সেই ধরনের তাড়াহুড়োর প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরবিআই-এর নির্দেশিকা এক নজরে-
- আজ থেকে শুরু নোট বদল প্রক্রিয়া। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলবে। এক লপ্তে কোনও ব্যক্তি ১০ টি ২০০০ টাকার নোট বদল করতে পারবেন।
- পশ্চিমবঙ্গের মোট ৯ হাজারটি ব্যাঙ্কের শাখায় এই নোট করা যাবে। আর আরবিআই-র শাখাতেও নোট বদল প্রক্রিয়া চলবে। স্টেট ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, এই ব্যাঙ্কে নোট বদলের জন্য কোনও পরিচয়পত্র বা ফর্ম ফিল আপ করতে হবে না গ্রাহকদের। এবার একই পথে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক। মঙ্গলবার এই ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, ২০০০ টাকার নোট বদল করার জন্য গ্রাহকদের কোনও পরিচয় পত্র দেখানো ফর্ম ফিলাপের প্রয়োজন নেই।
- আরবিআই-র সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, অন্যান্য ব্যাংকে টাকা বদল করার ক্ষেত্রে কোনও নথি দিতে হবে না।
- আরবিআই-র নির্দেশিকা অনুযায়ী, যে নাগরিকদের অ্যাকাউন্ট সেই ব্যাংকে নেই, তারাও কোনও ব্যাংক থেকেও ২০০০ টাকার নোট এক্সচেঞ্জ করতে পারেন।
- ‘ক্লিন নোট পলিসির’ অধীনে গত ১৯ মে আরবিআই বাজার থেকে ২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করে।
- আর কেউ যদি ২০০০ টাকার নোট এক্সচেঞ্জ না করে নিজের সেভিংস অ্যাকাউন্টে তা জমা দিতে চান সেক্ষেত্রে কোনও টাকার পরিমাণ বেঁধে দেওয়া হয়নি।
- ২০১৬ সালে নোটবন্দির পর অর্থনীতিতে টাকার চাহিদা মেটানোর জন্য ২০০০ টাকার নোট ছাপা শুরু হয়। ভারতীয় অর্থনীতিতে লেনদেন খুব কম হয়। আর বাজারে ইতিমধ্যেই অন্যান্য মূল্যমানের পর্যাপ্ত নোট বাজারে এসে গিয়েছে। অর্থাৎ, বাজারে টাকার চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা মিটে গিয়েছে। তাই ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষ থেকেই ২০০০ টাকার নোট ছাপা বন্ধ হয়। আর এবার পাকাপাকিভাবে বাজার এই নোট তুলে নেওয়ার পথে হাঁটল আরবিআই।