পুবের কলম,ওয়েবডেস্কঃ তাদের বাড়ি ফেরার আর কোনও পথ নেই। কোথায় ফিরবেন? ঘরদোর যে জ্বলে খাক। ৩ মে ভয়াবহ সহিংসতার ঘটনা ঘটে মনিপুরে। মৃত্যু হয়েছিল ৬০ জনের। মেইতেই ও কুকিদের দাঙ্গায় জ্বলে উঠেছিল গোটা মনিপুর। ভয়াবহ সেই স্মৃতি রোমন্থন করছিলেন বছর পঞ্চাশের গিনা। ভয়াবহ স্মৃতি মুছে ফেলতে পারছেন না তিনি। দলে দলে মনিপুর ছেড়েছেন বহুজন। ইম্ফল থেকে তাঁরা আশ্রয় নিয়েছেন গুয়াহাটিতে। যারা চোখের সামনে নিজেদের ঘর জ্বলতে দেখেছেন, তারা অনেকেই আর ফিরেত চাইছেন না। এই ঘটনায় হাজার হাজার মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। গিনা সেই ভাগ্যবান ও ভাগ্যবতীদের একজন, যারা সেদিন প্রাণ নিয়ে পালাতে পেরেছিল।
কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্বেগের শেষ নেই। তবে তারা অদ্ভুতভাবে নীরব ছিল মণিপুরের ক্ষেত্রে। গত কয়েক দিন ধরে উত্তর-পূর্বে যে জাতি-দাঙ্গা হয়েছে, তা সাম্প্রতিককালে দেশের কোথাও দেখা যায়নি। প্রকাশ্যে একে ৪৭-এর মতো অস্ত্র নিয়ে দাঙ্গাকারীরা ঘুরে বেড়াচ্ছিল। সরকারি হিসাবে প্রায় ৬০ জনের প্রাণ গিয়েছে। নিহতদের তালিকায় জাতীয় স্তরের খেলোয়াড় থেকে সরকারি আধিকারিক, আধাসেনার কমান্ডো পর্যন্ত রয়েছেন। আক্রান্ত হয়েছেন একজন বিজেপি বিধায়কও। হাজার হাজার মানুষ ঘরছাড়া। গিনা জানান কীভাবে ঘুটঘুটে আঁধারে কেটেছিল তাঁদের রাত। আলো বলতে ছিল মোবাইল । এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এমন সহিংসতার সাক্ষি থাকলেন গিনা। কান ঝাউ জানান, তারা বর্তমানে কার্যত গৃহহীন। ক্যাম্পে দিন কাটছে তাদের। ফিরবেন কোথায়? ঘর তো পুড়ে চাই। তরুণী মিমি বলেন, তিনি ইম্ফলে ফিরে যাওয়ার কথা কল্পনাও করতেও পারছেন না। মেয়েদের নিয়ে অন্য শহরে কাটাতে হচ্ছে তাঁকে। স্বামী এখনও পরে রয়েছেন মনিপুরের চূড়াচাঁদপুরে। সেখান থেকেই ৩ মে প্রথম শুরু হয়েছিল মনিপুর সহিংসতা।