সফিকুল ইসলাম (দুলাল), বর্ধমান: কাঁদছো কেন জল চেয়ে,/ দূষণে আজ গেছে ছেয়ে। বর্ধমানের ইকরা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের উদ্যোগে ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহযোগিতায় শনিবার সকালে ‘পানীয় জল অপচয় রোধ’ বিষয়ে সচেতনতামূলক একটি র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে বর্ধমান শহরে। এরপর সন্ধ্যায় বর্ধমান শহরের তিনকোনিয়া লাইন্স ক্লাবের সভাঘরে এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
এদিন এই পদযাত্রা কেশবগঞ্জ চটি মসজিদের ঠিক উল্টোদিকে ইকরা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে শুরু হয়ে বর্ধমান রেলওয়ে স্টেশনে এসে শেষ হয়। পানীয় জল অপচয় রোধ সংক্রান্ত নানান প্ল্যাকার্ড হাতে পড়ুয়াদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। এই পদযাত্রায় সামিল হন ইকরা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সকল ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী ও স্কুল পরিচালন সমিতির সদস্যবৃন্দ।
সন্ধ্যায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন রাজ্যসভার সাবেক সাংসদ, পুবের কলম-এর সম্পাদক আহমদ হাসান ইমরান, ড. মুফতি শামীম নিজামী, অনুপ বেজ, শিক্ষক তুষার কান্তি মুখার্জি, ওসমান গনি, আমজাদ হোসেন, শাহজেব জাফরসহ অনেক বিশিষ্ট অতিথিরা। মুফতি শামীম নিজামী কুরআন-হাদিস ও নবী মুহাম্মদ সা. জল অপচয় রোধে কী বার্তা দিয়েছেন তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
আহমদ হাসান ইমরান জলের অপচয় নিয়ে অনুষ্ঠান করার জন্য আয়োজকদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, দুটি বিশ্বযুদ্ধ হয়ে গেছে। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলে জল নিয়ে হবে। দক্ষিণ ভারতের কাবেরী নদী ও মিশরের নীলনদের জল নিয়ে বিবাদের কথা তুলে ধরেন তিনি। ইমরান আরও বলেন, নবী সা. কীভাবে জল অপচয় নিয়ে হাদিসের মধ্যে বলেছেন তা আমাদের অনুসরণ করতে হবে। কর্পোরেটরা সবচেয়ে বেশি জল অপচয় করে। কোকাকোলা কোম্পানি ভূগর্ভস্থ জল তুলে জলের লেয়ার কমিয়ে দিচ্ছে এবং ওদের উচ্ছিষ্ট জল চাষের ক্ষতি করছে। সারা বিশ্বে কীভাবে জল সংকট চলছে এবং সুপেয় জলের অভাব হচ্ছে তা নিয়ে সতর্ক হতে হবে। তিনি অপ্রয়োজনে বেশি জল নষ্ট না করা এবং প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগাবার আহ্বান জানান।
ইকরা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সম্পাদক ওমর ফারুক আগত অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। ওমর ফারুক বলেন, তার স্কুল উন্নত-আধুনিক পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে মানুষকে সচেতন করার প্রয়াস চালিয়ে যাবে।