পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের উন্নয়নে নজির গড়েছেন। জেলায় জেলায় জেলায় তৈরি হয়েছে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। এদিকে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের হসপিটাল অ্যাডমিনিষ্ট্রশন দফতরের পক্ষ থেকে প্রতিবছর হাসপাতালের সার্বিক উন্নয়নের নিরিখে ‘সুশ্রী কায়কল্প-২০২২-২০২৩’ -এর ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এই ফলাফলে গ্রামীণ, ব্লক, মহকুমা, জেলা হাসপাতাল হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে নিয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। রাজ্যের সমস্ত হাপসাতালের মধ্যে ৬২৯টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে এই তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় ইন্টারন্যাল অ্যাসেসমেন্ট-এর মাধ্যমে মোট ১ হাজার ৫৩টি পরিষেবার তথ্যের উপর ভিত্তি করে কায়াকল্প তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এই হাসপাতালগুলির মধ্যে ৯১৯টি পরিষেবায় উত্তীর্ণ হয়েছে ৭০ শতাংশ হাসপাতাল।
জেলা হাসপাতালগুলির মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে কলকাতার টালিগঞ্জের এমআর বাঙুর হাসপাতাল। এই হাসপাতালগুলির মধ্যে রয়েছে। এদিকে রাজ্যের মধ্যে সার্ভিকভাবে ইকোফ্রেণ্ডলি হাসপাতালের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। সেই হাসপাতালের তালিকায় রাজ্যের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে
এমআর বাঙুর হাসপাতাল। একই সঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগণার হাসপাতালের মধ্যে প্রথম স্থান রয়েছে বাঙুরের। এই সাফল্য প্রসঙ্গে বাঙুর হাসপাতালের সুপার ডা. শিশির নস্কর বলেন, এই সাফল্যে হাসপাতালের সমস্ত চিকিৎসক এবং চিকিৎসা কর্মীরা গর্বিত। বিগত কয়েক বছরের সার্বিক উন্নয়নের তথ্যের উপর ভিত্তি করে কায়াকল্প তালিকা প্রকাশ করা হয়। এই হাসপাতালের উন্নয়নে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ভূমিকা রয়েছে।
পাশাপাশি রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের সহযোগিতা রয়েছে। করোনার সময় পরিস্থিতি সামাল দিতে এই হপাসাতল নিরলসভাবে প্রচেষ্টা চালিয়েছে। রোগী পরিষেবায় এক মাত্র লক্ষ্য এই হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স এবং চিকিৎসা কর্মীদের। আশাকরি আগামীতেও এই হাসপাতাল সাফল্য ধরে রা’তে প্রচেষ্টা চালাবে।
দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে বালুরঘাটের জেলা হাসপাতাল। ‘টাকি কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের তালিকায় রাজ্যের মধ্যে সেরা স্থান অধিকার করেছে। একই সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগণার টাকি গ্রামীন হাসপাতাল এবং নালমুরি হাসপাতাল ইকো-ফ্রেণ্ডলি চিকিৎসা কেন্দ্রের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
জেলা হাসপাতালের মধ্যে তৃতীয় স্থানে বসিরহাট হাসপাতাল। চতুর্থ শিলিগুড়ি হাসপাতাল, চতুর্থ নদিয়া জেলা হাসপাতাল সহ ১৪টি হাসপাতাল কায়কল্প-এর তালিকাভুক্ত হয়েছে।
ইকো ফ্রেণ্ডলি হাসপাতালের তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন জেলার ৩৫৮টি হাসপাতাল।
এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব শ্রেণির মানুষের কাছে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড চালু করেছেন। রাজ্যের জেলা হাসপাতালগুলিতে ক্যানসার ইউনিট খোলার তোড়জোড় শুরু হয়েছে।