নিজস্ব প্রতিনিধি:গত ৪ মে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের সিঙ্গেল বেঞ্চ রাজ্য সরকারকে মানব পাচার ও ধর্ষণের শিকার একজন নাবালিককে ৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য আদেশনামায় উল্লেখ রেখেছেন যে, -‘রাষ্ট্র ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রেরণ করেছে, তবে বেঁচে থাকা ব্যক্তি এখনও তা পাননি’। এক নাবালিকা কে কলকাতা থেকে পাচার করা হয়েছিল এবং মহারাষ্ট্রের পুনে জেলায় পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়েছিল। পরবর্তীতে রাজ্য পুলিশ তাকে উদ্ধার করে এবং ক্ষতিপূরণ চেয়ে আদালতে যায়। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ উল্লেখ করেছে যে -‘ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটি (ডিএলএসএ) ধর্ষণ এবং পাচার উভয়ের জন্য ওই নাবালিকা কে দেড় লক্ষ টাকা সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জেলা আইনী পরিষেবা জানিয়েছে যে -‘ উল্লিখিত পরিমাণটি পশ্চিমবঙ্গের ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষতিপূরণ প্রকল্প, ২০১৭-এর অধীনে প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে, তিনি ৭ লক্ষের বেশি ক্ষতিপূরণ চেয়েছিলেন যা জাতীয় আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ মহিলা ভিকটিম, সারভাইভারদের জন্য ক্ষতিপূরণ প্রকল্পের অধীনে দেওয়া হয়েছে। গত ৪ এপ্রিল একটি পূর্ববর্তী শুনানিতে সিঙ্গেল বেঞ্চ স্পষ্ট করেছিল যে -‘জাতীয় আইনী পরিষেবা কেন্দ্রের স্কিমগুলি অপরাধ থেকে বেঁচে থাকা সমস্ত (মহিলা) সুবিধার জন্য তৈরি করা হয়েছে তারা যে রাজ্যে থাকুক না কেন’। তবে, ১৯ এপ্রিল আদালতকে জানানো হয়েছিল যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে এখনও এই প্রকল্পটি কার্যকর করা হয়নি। পুনরায় ২৬ এপ্রিল যখন বিষয়টির শুনানি হয়, তখন রাজ্যের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী দাখিল করেন যে -‘ অর্থ বিভাগ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে এবং তহবিলের অনুমোদন অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে’। তবে সিঙ্গেল বেঞ্চ জানিয়ে দেয় -‘ বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের এভাবে অপেক্ষা করা যাবে না। যেমনই হোক, এই আদালতের দৃষ্টিভঙ্গি যে আদালতের সামনে আবেদনকারী/ভিকটিমকে রাজ্য সরকার কর্তৃক তহবিল মঞ্জুর না হওয়া পর্যন্ত এবং বিচার বিভাগীয় বিভাগে পৌঁছানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলা যাবে না। তাই রাজ্যকে অর্থ দিতেই হবে সাত দিনের মধ্যে ‘। গত ৪ মে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের সিঙ্গেল বেঞ্চ জাতীয় আইনী পরিষেবা কেন্দ্রের প্রকল্প অনুযায়ী ৭ লক্ষ টাকা দ্রুত দেওয়ার নির্দেশ দেয়।