পারিজাত মোল্লা: কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের এজলাসে উঠে ময়নার নিহত বিজেপির বুথ সভাপতি বিষয়ক মামলাটি। আগের শুনানিতে ময়নার বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পরেও এখনও তা না হওয়ায় প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। পরিবারগুলিকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা না দেওয়ায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ বিচারপতি মান্থার।
সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মান্থারক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এটাই কেন্দ্রীয় সরকারের আচরণ। ৩ মে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে।রাজ্য তাদের নিরাপত্তা তুলে নিয়েছে। কেন্দ্র কি আইনের ঊর্ধ্বে? এটা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রবণতা! আন্দামানের ক্ষেত্রেও দেখেছি, কলকাতাতেও দেখছি। কোনও ভাবে পাস কাটানোর চেষ্টা। নিজেদের আইনের ঊর্ধ্বে ভাববেন না। কেন এখনও কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হয়নি? স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সচিবকে তলবে করব তেমন হলে। তারপরে দেখব কী করেন। কিন্তু এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। এত ক্যাজুয়াল অ্যাটিটিউড কেন্দ্রের কাছে আশা করা যায় না। যা করেছেন এখনও পর্যন্ত, তা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের জন্য যথেষ্ট।
‘বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার উত্তরে আইনজীবী আদালতকে বলেন, ‘ময়নার বিজেপি নেতার মৃত্যুতে দ্বিতীয় ময়না তদন্তের পরে আরও বেশ কিছু ধারা যুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু নিম্ন আদালতে আর্মস অ্যাক্ট যুক্ত করার আবেদন করা হয়েছে।
‘এদিন কম্যান্ড হাসপাতালের তরফে দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্টও আদালতকে জমা দেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশ, ওই রিপোর্টের সঙ্গে তমলুক হাসপাতালের প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্টও দিতে হবে সব পক্ষকে।রাজ্য সরকারের তরফে এদিন আদালতে দাবি করা হয়, পুলিশের সঙ্গে মৃতের পরিবার ও অপহৃতের প্রতিবেশীরা কোনও সহযোগিতা করছে না। রাজ্যের আইনজীবী বলেন, ‘পুলিশ সব ভুল করছে না। আমাদের ময়নাতদন্তের সঙ্গে কম্যান্ড হাসপাতালের ময়নাতদন্তের কোনও তফাত নেই। তবু পুলিশের সঙ্গে কোনও সহযোগিতা করা হচ্ছে না। উল্টে নানাভাবে আপত্তি জানাচ্ছে। এটা চলতে পারে না।’ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ দেন,-‘ পরিবারকে পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে’। এখন দেখার কেন্দ্রীয় সরকার কি অবস্থান নেয়?