পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : মধ্যপ্রদেশে ধর্মঘটে ১৩ হাজার চিকিৎসক। ধর্মঘটে শামিল হয়েছেন মধ্যপ্রদেশের শাসকিয়া স্বশাসি চিকিৎসক মহাসংঘের একই ছাতার তলায় থাকা মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনগুলি। বুধবার থেকে এই ধর্মঘট শুরু হয়েছে। চিকিৎসকদের গ্রামীণ এলাকায় পোস্টিং সহ আমলাতান্ত্রিক হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে তাদের এই ধর্মঘট। এক কর্মকর্তার বক্তব্য, সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেও কোনও লাভ হয়নি। চিকিৎসকদের গ্রামে সেবা করার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সপ্তাহে ৭ দিন ছুটি না নিয়েই কাজ করতে হয়। সেখানে স্কুল ও আবাসনের মতো কোনও সুযোগ-সুবিধা নেই। গত ফেব্রয়ারিতে একই দাবিতে আন্দোলনে করেছিলেন তারা। তখন তাদের দাবিগুলি খতিয়ে দেখে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু কিছুই হয়নি।
এদিকে সরকারি হাসপাতালের ১৩ হাজার চিকিৎসকের ধর্মঘটের ফলে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন চৌহান সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান মঙ্গলবার রাতে ধর্মঘটের বিষয়ে জেলা কালেক্টর এবং বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী চৌহান রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবা যাতে কোনওভাবে ব্যাহত না হয় সেইদিকে নজর রাখার নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য পরিষেবা একটি অপরিহার্য সেবা। এই পরিষেবা যাতে কোনওভাবেই বাধাপ্রাপ্ত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। জরুরি ভিত্তিতে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পিজি চিকিৎসকদের পরিষেবা দিতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী কর্মকর্তাদের প্রয়োজনে আয়ুষ্মান যোজনার অধীনে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী ধর্মঘটীদের উদ্দেশে বলেন, চিকিৎসকদের ঈশ্বরের রূপ বলে মনে করা হয়। মানুষের জীবন নিয়ে খেলবেন না’।
উল্লেখ্য, ভোপাল জেলায় প্রশাসন বেসরকারি চিকিৎসকদের সরকারি পরিষেবা দিতে নির্দেশ দিয়েছে। ভোপাল কালেক্টর আশিস সিং সাংবাদিকদের বলেন, রাজ্যের বৃহত্তম সরকারি হামিদিয়া হাসপাতালে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ১৫০ জন ডাক্তারকে এখানে ডাকা হয়েছে। তারা বহির্বিভাগের রোগী বিভাগে (ওপিডি) এবং ওয়ার্ডে সেবা দিচ্ছেন। এখানে ৬৭২ জন রোগী ভর্তি আছেন। দুটি বেসরকারি হাসপাতালে ১৫০০টি শয্যা বুক করে রাখা হয়েছে। সেখানে রোগীদের নিখরচায় চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভোপাল বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মাল সিং ভাদিয়া বলেছেন, গুরুতর রোগীদের বড় বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হচ্ছে।