সেখ কুতুবউদ্দিন: জেইই কম্বাইন-এর ফলাফলে সর্বভারতীয় ওবিসি-পিডব্লিউডি র্যাঙ্কে প্রথম এবং অল ইন্ডিয়া পিএইচই র্যাঙ্কে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করলেন কলকাতার মুহাম্মদ সাহিল। জেইই মেইন-এ তাঁর কমন র্যাঙ্ক ২৬১। সাহিলের জেইই-মেইন পার্সেন্টাইল ৯৯.৯৮ শতাংশ।
ইন্টারন্যাশনাল অ্যালেম্পিয়ার্ডে অ্যাস্ট্রোফিজিক্সে প্রথম পাঁচের মধ্যে স্থান দখল করে মেডেল প্রাপ্ত সাহিল পুবের কলমকে রবিবার বলেন, পড়াশোনা করলে সফল আসবে। রুবি পার্কের দিল্লি পাবলিক স্কুল থেকে দশম উত্তীর্ণ। দ্বাদশ শ্রেণির ফলও এ’ন বের হয়নি।
কসবার বোসপুকুর রোডের বাসিন্দা সাহিলের ইচ্ছা ফিজিক্স-এর সঙ্গে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করা। আগামীতে অ্যাস্ট্রোফিজিক্সে নিয়ে পড়াশোনার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। ইতিমধ্যে ইউএসএ-এর ম্যাসাচুয়েট ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির এমআইটি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির জন্য আবেদন করছেন। আগামী সেপ্টম্বর মাসে সেখানে যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। সাহিলের আব্বা একজন সরকারি কাস্টম অফিসার। বড় ভাই আইআইটি দিল্লিতে কর্মরত।
শনিবার প্রকাশিত হয়েছে সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেনস-এর দ্বিতীয় সেশনের ফলাফল। দেশজুড়ে এই পরীক্ষায় বসেছিলেন প্রায় ছ’লক্ষ পড়ুয়া। তার মধ্যে ৪৩ জন ১০০ পার্সেন্টাইল পেয়ে প্রথম স্থানে রয়েছেন। সেখানে রয়েছেন কলকাতার বাসিন্দা ডিপিএস রুবি পার্কের ছাত্র সোহম দাস। তিনি পশ্চিমবঙ্গেও সম্ভাব্য প্রথম।
এ ছাড়া ওই স্কুলের আর এক পড়ুয়া মুহাম্মদ সাহিল আখতার বিশেষভাবে সক্ষমদের মধ্যে দেশের সেরা পাঁচ জনের মধ্যে রয়েছেন। এদিন ডিপিএস স্কুল জানিয়েছে, দুই পড়ুয়াই প্রথম থেকেই মেধাবী। সোহম ডিপিএসে ক্লাসেও সেরা।
জেইই মেনস-এ দুর্দান্ত ফলাফল করেও সোহম তাকিয়ে জেইই অ্যাডভান্সের দিকে। কারণ, সে চায় আইআইটি বম্বে থেকে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করতে। সাহিলও চায় কোনও বড় আইআইটি থেকে পছন্দের বিষয় নিয়ে পড়তে। দুই পড়ুয়াকেই আগামী দিনের জন্যে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল জয়তী চৌধুরি।