পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্যে কর্মসংস্কৃতিকে ফেরাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার রাজ্যের সদর দফতর নবান্নতে প্রথম মুখ মিলিয়ে হাজিরা শুরু হতে চলেছে। আগেই রাজ্য সরকার বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে হাজিরা চালু করেছে। এবার নবান্নের কর্মচারীদের মুখের ছবি দিয়ে বায়োমেট্রিক হাজিরা চালু হতে চলেছে। একদিকে যখন সরকারি কাজকর্মের ক্ষেত্রে অনলাইন বা ই, গভর্নেন্স মাধ্যমে করার উপরে জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার।
অন্যদিকে আধুনিক পদ্ধতি ফেসিয়াল রিকগনিশন বায়োমেট্রিক এর মাধ্যমে এবার থেকে প্রথম বার নবান্ন হাজিরা শুরু হবে। মনে করা হচ্ছে খুব শীগ্রই এই নতুন পদ্ধতি রাজ্য সরকারের প্রধান কার্যালয় নবান্নে চালু হতে চলেছে।
সম্ভবত, আগামী ২ মে থেকে শুরু হবে এই আধুনিক পদ্ধতি। ফেসিয়াল রিকগনিশন বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে চালু হবে হাজিরা বলে নবান্ন সূত্রের খবর। তবে কেন এই পদ্ধতির প্রয়োজন পড়ল উঠছে প্রশ্ন।
নবান্ন সূত্রের খবর যে আঙ্গুল দিয়ে যে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে অনেক সরকারি কর্মচারীদের দের আঙ্গুলের ছাপ মিলছে না। অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগ আসছে যে নবান্নের সরকারি কর্মচারীদের হাজিরা দিতে গেলে ঠিক মত বায়োমেট্রিক সিস্টেম কাজ করছে না।
এই সমস্ত বিষয় বিবেচনা করেই বিকল্প ব্যবস্থাপনা হিসাবে এই নতুন পদ্ধতি অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন বলে সূত্রের খবর।
তাই কর্মচারীদের হাজিরাকে ত্রুটি মুক্ত এবং সময়সাশ্রয়ী করতে ও সুবিধাজনক হবে এই ফেসিয়াল রিকগনিশন বায়োমেট্রিক পদ্ধতি।
ইতিমধ্যে নবান্নের প্রত্যেকটি দফতরের এই মেশিন বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। এই কাজ দেশের প্রখ্যাত তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা ওয়েবেল টেকনোলজি লিমিটেড করছে। এই আধুনিক পদ্ধতি মেশিন বসানোর জন্য খরচ হবে প্রায় ২৫ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, নবান্ন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজারের কাছাকাছি রয়েছে। প্রত্যেক কর্মচারীদের পরিচয়পত্র এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র থাকবে এই ফেসিয়াল রিকগনিশন বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে। এবার থেকে দফতরে আসার সময় প্রত্যেক কর্মচারীদের মেশিনের সামনে তার মুখের স্ক্যান করার মাধ্যমে হাজিরা দিতে হবে। ফলে আঙ্গুল দিয়ে বায়োমেট্রিক হাজিরার সমস্যা মিটবে। অন্যদিকে এই নতুন পদ্ধতির মাধ্যমে হাজিরা দেওয়া আরও সহজ ও সরল হবে বলে মনে করছে প্রশাসনিক মহল।