আবদুল ওদুদ: পতাকা শিল্পগোষ্ঠীর জিডি স্টাডি সার্কেল সমাজে পিছিয়ে পড়াদের সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে দিশা দেখাতে এক বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
সংখ্যালঘু সমাজে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার তৈরির কোচিং দেওয়ার পাশাপাশি ডব্লুবিসিএস, শিক্ষক, পুলিশের সাবইন্সপেক্টর, ক্লার্ক, আইসিডিএসের সুপারভাইজার, মিসলেনিয়াস, স্বাস্থ্য বিভাগ ছাড়াও একাধিক চাকরির পরীক্ষার প্রশিক্ষণ দিয়ে চলেছে। বর্তমানে জিডি স্টাডি সার্কেল চাকরির পরীক্ষার প্রশিক্ষণ দিয়ে অনেকটাই সফল। এখনও পর্যন্ত জিডি স্টাডি সার্কেল থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ৯৫ জন সফল হয়েছেন। গত কয়েক বছর ধরে প্রশিক্ষণ শুরু হলেও করোনার জন্য মাঝে থমকে যায়। কিন্তু এখন বেশ কিছু ক্ষেত্রে সাফল্য পেয়েছে জিডি স্টাডি সার্কেলের পড়ুয়ারা। অবসরপ্রাপ্ত আইএএস ও প্রাক্তন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান নুরুল হক ও শহীদুল ইসলাম এই সমস্ত সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের দিশা দেখাতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্টে সোহরাওয়ার্দি অ্যাভিনিউতে এই দুই অফিসার ছাড়াও লিয়াকত আলি, সৈয়দ নাসিরুদ্দিন, রফিকুল ইসলাম-এর মতো ব্যক্তিদের সহযোগিতায় প্রশিক্ষণ দিয়ে চলেছেন।
শহীদুল ইসলাম জানান, ডব্লুবিসিএসের কোচিং নিয়ে এখন থেকে সফল হয়েছেন মুহাম্মদ সাবির আহমেদ মোল্লা, আলি রাফসান জানি, আরিফ আহমেদ-এর মতো ছাত্ররা ।
পুলিশের এসআই হয়েছেন সেখ আফজাল রেজা, জয়েন্ট বিডিও হয়েছেন ফাইজাল সেখ পুলিশের সার্বইন্সপেক্টরের পদে জয়েন্ট করেছেন মুহাম্মদ আফজাল রেজা, ফিরোজ মল্লিক, মোল্লা নুরুল হাসান, মুস্তাকিন মণ্ডল, আনজারুল ইসলাম, মাসুদ রানা সর্দার, মেহেদি হাসান গাজি, আখতারুর আলমরা। তিনি আরও বলেন, জিডি স্টাডি সার্কেল থেকে কোচিং নিয়ে মাইনিং অফিসার হয়েছেন, মিনহাজুল ইসলাম। তেমনি আইডিও হয়েছেন শাহরিয়ার সেখ। এরকম আরও বহু ছাত্র রয়েছে যাঁরা জিডি থেকে কোচিং নিয়ে সরকারের উচ্চপদস্থ দফতরে কর্মরত। কিছুদিন আগে আইসিডিএস-এর সুপার ভাইজার পদে যোগ্যতার সঙ্গে নির্বাচিত হয়েছে ১৯ জন। তাঁরা প্রত্যেকেই জিডি থেকে কোচিং নিয়েছেন।
প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিতে জুনিয়র অ্যাসিসটেন্ট হয়েছেন হেলাল ‘খামরু। তিনি বলেন, জীবনে ক’নও ভাবেননি সরকারি চাকরি পাব। কিন্তু জিডি স্টাডি সার্কেল সেই স্বপ্ন পূরণ করেছে। প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিতে জুনিয়ার অ্যাসিটেন্ট হিসেবে তিনি কর্মরত। বর্তমানে তিনি চাকরির পাশাপাশি জিডির কাজকর্ম দেখেন। আর নতুন চাকরি প্রার্থীদের উৎসাহ দেন।
গত কয়েক বছরে জিডির এই কোচিং সেন্টার থেকে ৯৫ জন পড়ুয়া যোগ্যতার সঙ্গে সাফল্য অর্জন করেছে। কেউ যেমন নবান্নর এলডিএতে কর্মরত আবার কেউ স্বাস্থ্য ভবনে, আবার কেই এগ্রিকালচার ডিপার্টমেন্টে। আবার কেউ রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরে চাকরি করছেন।
প্রাক্তন আমলা শহীদুল ইসলাম বলেন, রাজ্যের বহু মেধাবি পড়ুয়া রয়েছেন। তাঁরা আর্থিকভাবে পিছিয়ে। তাঁদের চাকরির ক্ষেত্রে স্বপ্ন দেখাই তাঁদের লক্ষ্য। পতাকা শিল্পগোষ্ঠী সেই কাজটি করে যাচ্ছে। আমরা কয়েকজন অফিসার সেই কাজ করার চেষ্টা করছি। তিনি আরও বলেন, সরকারি চাকরির সমস্ত বিভাগ এরই কোচিং দেওয়ার জন্য তৈরি হয়েছে এই প্রশিক্ষন কেন্দ্র । যাঁরা আর্থিকভাবে পিছিয়ে তাঁদের বিশেষ বৃত্তি দিয়ে চাকরির স্বপ্ন দেখাচ্ছে রাজ্যের প্রখ্যাত শিল্পপতি তথা শিক্ষাবিদ মোস্তাক হোসেন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ডিজি স্টাডি সার্কেল।