পারিজাত মোল্লা: মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের সিঙ্গেল বেঞ্চে উত্তরবঙ্গের দাড়িভিটে স্কুলের মাঠে গুলিচালনার ঘটনা সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলে। এদিন বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের প্রশ্নের মুখে পড়েন তদন্তকারীরা। এদিন বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের প্রশ্ন, “তদন্ত শেষ করতে চার বছর কেন লাগল সিআইডির?
যে পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল তাদের কি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে?” গত ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাস, ইসলামপুরের দাড়িভিট স্কুলে গুলিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবার সিআইডি তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থার।
এদিন শুনানিতে বিচারপতি বলেন, ওই ঘটনার তদন্ত শেষ করতে সিআইডির চার বছর কেন সময় লাগল?আদালত সেটাই জানতে চায়। তদন্তের কেস ডায়েরি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
আদালত সুত্রে প্রকাশ, ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দাড়িভিট স্কুলে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ঘটনাস্থলে এসেছিল পুলিশ। অভিযোগ, সেইসময় পুলিশের গুলিতে স্কুলের দুই প্রাক্তন ছাত্রের মৃত্যু হয়। যদিও পুলিশ তা অস্বীকার করে। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে মামলা হয়।
মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি মান্থারের এজলাসে। সেখানেই তিনি সিআইডির উদ্দেশে একের পর এক প্রশ্ন করেন। বিচারপতি এদিন প্রশ্ন করেন, -‘ যে পুলিশ অফিসারদের ভূমিকা নিয়ে সেদিন প্রশ্ন উঠেছিল তাঁদের কি সিআইডি আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন?’ শুধু তাই নয়, তত্কালীন সেখানকার বিধায়ক-সাংসদদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে কী পাওয়া গেছে তাও জানতে চান বিচারপতি।অভিযোগ উঠেছিল, ঘটনাস্থল থেকে যে গুলির খোল পাওয়া গিয়েছিল সেগুলি পুলিশ সিআইডির কাছে জমা দেওয়া হয়নি। এমন অভিযোগ উঠছে কেন, তাও জানতে চান বিচারপতি।
এছাড়াও, এই ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তদন্ত করে সিবিআই তদন্তের পক্ষে সুপারিশ করেছিল। প্রথমে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন পদেক্ষেপ করে তবে পরে জাতীয় কমিশন এগিয়ে এলে তারা তদন্ত থেকে সরে দাঁড়ায়। এই নিয়ে তদন্তকারীদের কী বক্তব্য? তাও জানতে চায় আদালত। আগামী ১৯ এপ্রিলের আগে সিআইডিকে জবাব দিতে হবে। ওইদিনই এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।