পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সম্প্রতি বিহারের একটি স্টেশনে বিজ্ঞাপনের বদলে পর্নভিডিও চলার ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয় গোটা দেশ। বিজ্ঞাপন কাণ্ডে নাম জড়ায় কলকাতার একটি সংস্থার। সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ করেছে রেল। এবার সেই পর্ন বা নীলছবি দেখার অভিযোগ উঠল খোদ বিধানসভার অন্দরে। এক বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে সংসদে অধিবেশন চলাকালীন নীলছবি দেখার অভিযোগ উঠেছে। ত্রিপুরা বিধানসভার এই ঘটনার ছবি ও ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। তবে এই ঘটনায় ধরা পড়েছেন বিজেপি বিধায়ক যাদবলাল নাথ। তিনি ত্রিপুরার বাগবাসা কেন্দ্রের বিধায়ক।
জানা গেছে, সংসদে যখন অধিবেশন চলছিল ঠিক তখনই, তখন বিধায়ক যাদবলাল নাথ মোবাইলে নীলছবি দেখতেই মগ্ন ছিলেন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র চাপান-উতোর শুরু হয়। বিজেপি ওই বিধায়কের কাছে জবাবদিহি তলব করেছে। তবে এই বিষয়ে যাদবলাল কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি। অধিবেশন শেষ হতেই প্রায় সকলকে এড়িয়ে বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যান তিনি।
জানা গিয়েছে, যাদবলাল নাথ প্রথমে সিপিএম করতেন। পরে ২০১৮ সালে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। সে বারের বিধানসভা ভোটে সিপিএম প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও পরাজিত হন তিনি। তবে ২০২৩-এর বিধানসভা ভোটে বিজেপির প্রতীকে বাগবাসা থেকে জয়লাভ করেন।
তবে বিধানসভায় বসে নীলছবি দেখার ঘটনা এই প্রথম নয়। ২০১২ সালে কর্নাটকের বিজেপির দুই মন্ত্রী সংসদের কাজ শিকেয় তুলে নীলছবি দেখায় মগ্ন ছিলেন। পরে ধরা পড়েন তারা।
সেই সময় নীলছবি দেখায় অভিযুক্ত মন্ত্রী লক্ষ্মণ সাভাদি দাবি করেছিলেন, শিক্ষা সংক্রান্ত কারণে এই ভিডিয়ো দেখছিলেন তিনি। রেভ পার্টি নিয়েও এর থেকে অনেক কিছু জানা যায় বলেও সেই সময় দাবি করেছিলেন বিজেপি সরকারের মন্ত্রী। সাভাদির ফোনে ওই ভিডিয়ো ভাগ করে দেখেছিলেন অপর মন্ত্রী সিসি পাটিলও। নিন্দার মুখে দুই মন্ত্রীকেই পদত্যাগ করতে হয়। তবে বিজেপির তরফে করা তদন্তে তাঁদের ‘দোষ’ প্রমাণিত হয়নি, তারা তাঁরা আবার তাদের দফতরে পুনর্বহাল হন।