পারিজাত মোল্লা: মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের এজলাসে শহিদ মিনারে তৃনমূল কংগ্রেসের সভার অনুমতি বিষয়ক মামলার শুনানি চলে। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ শর্তসাপেক্ষে ধর্মতলার শহীদ মিনারে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা করার অনুমতি দিল। সভার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ডিএ আন্দোলনরত সরকারি কর্মীদের একাংশ। প্রতিবাদী সরকারি কর্মীদের অভিযোগ , -‘ একটি কর্মসূচি চলাকালীন পুলিশ কীভাবে অন্য কর্মসূচির অনুমতি দিল’? এদিন দুপুর দুটোর দিকে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে এই মামলার শুনানি চলে।
কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ অভিষেকের সভা আটকায় নি। তবে বেশকিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছে। সভা করার সময়ে সেই শর্তাবলি মেনে চলতে হবে তৃণমূলকে। তা না হলে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে।
শর্তগুলো হল – সভা এলাকার প্রবেশদ্বার এবং বাহিরদ্বার-সহ সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে মুড়ে ফেলতে হবে। করতে হবে সভার ভিডিয়োগ্রাফি। সভায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে পুলিশকে। যেখানে ডিএ আন্দোলনকারীদের অবস্থান, সেই এলাকায় দ্বিস্তরীয় ব্যারিকেড থাকবে। বাঁশের পাশাপাশি, টিন দিয়ে ব্যারিকেড করতে হবে। আন্দোলনকারীদের যাতে কেউ বিরক্ত না করে, তা নিশ্চিত করতে হবে। অভিষেকের ওই সভা থেকে কোনও উস্কানিমূলক বক্তব্য পেশ করা যাবে না।শান্তিপূর্ণ ভাবে গোটা কর্মসূচি পালন করতে হবে। সব পক্ষকেই শান্তি বজায় রাখতে হবে। সভা হয়ে গেলে ব্যারিকেড খুলে ফেলতে হবে। সভাস্থল পরিষ্কার করে দিতে হবে।এদিন মামলার শুনানি পর্বে বিচারপতি জানান , ”আদালত প্রত্যাশা করে তৃণমূল ছাত্র-যুব।এ তরফে কোনও রকম অশান্তিতে উস্কানি দেওয়া হবে না। যদি তা করা হয়, তা হলে তার ফল ভাল হবে না।”
এর পাশাপাশি, কলকাতা পুলিশের উদ্দেশে বিচারপতি মন্তব্য , ”ভবিষ্যতে যাতে এই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি না হয়, পুলিশ কমিশনারকে সে দিকে নজর রাখতে হবে। একই জায়গায় দু’টি কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া যাবে না। শহরে আরও অনেক জায়গা রয়েছে। সামলাতে পারলে রেড রোডে অনুমতি দিয়ে দিন? তাতে তো আরও প্রচার পাবে!” মামলাকারীদের অন্যতম আইনজীবী হিসাবে ছিলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।