পারিজাত মোল্লা: দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে উঠে গ্রুপ ডি নিয়োগ নিয়ে আপিল মামলা। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছে, গ্রুপ ডি নিয়োগ শূন্যপদ পূরণ এখনই নয়। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি গেছে গ্রুপ ডি-র ১৯১১ জন কর্মীর। চাকরি হারানো কর্মীদের বড় অংশ সুপ্রিম কোর্টে আপিল পিটিশন দাখিল করে থাকে । সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রেখেছিল। যদিও শূন্যপদে নিয়োগের জন্য কাউন্সেলিংয়ের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছিল। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ আগের নির্দেশই বহাল রাখল।
সুপ্রিম কোর্টে গ্রুপ ডি মামলার শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, শূন্যপদ পদ নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনই শুরু করতে পারবে না স্কুল সার্ভিস কমিশন। এই নিয়োগের জন্য কাউন্সেলিং সংক্রান্ত কোনও নোটিশ জারি করতে পারবে না এসএসসি’।
শুধু তাই নয়, এই মামলার সঙ্গে যুক্ত সবপক্ষের কাছে জবাব চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ শুনানিতে আরও জানায়, -‘ এই মামলা কোন বেঞ্চে শুনানি হবে এবং কবে হবে তা সবটাই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান বিচারপতি। তারপরই এই মামলার পরবর্তী শুনানি সম্পর্কে জানানো হবে’।উল্লেখ্য , গত ২০১৬ সালের গ্রুপ ডি নিয়োগ পরীক্ষায় যাঁরা বসেছিলেন তাঁদের মধ্যে ২৮২৩ জনের উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট বিকৃত হয়েছে বলে স্বীকার করে কমিশন। এই ২৮২৩ জনের সুপারিশ দেওয়া হয়।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানায়, ২৮২৩ জনের মধ্যে ১৯১১ জন চাকরি করছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে।
সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় অবিলম্বে সেই ১৯১১ জনের ওএমআর শিট কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আপলোড করার নির্দেশ দেন। এবং তাঁদের চাকরি বাতিল করেন ও বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে ও সুপ্রিম কোর্টে যায় চাকরি হারানো কর্মীদের বড় অংশ। সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। তবে এদিন সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানায় – ‘ গ্রুপ ডি নিয়োগে শুন্যপদ পূরণ এখনই নয়’। তা এদিন স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এসএসসি কর্তৃপক্ষকে।