পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহেবুবা মুফতি কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে জম্মু-কাশ্মীরের জনগণের সঙ্গে আলোচনা শুরু করার আবেদন জানিয়েছেন। শনিবার মেহেবুবা বলেন, জম্মু-কাশ্মীরকে পুনরায় ‘বিশেষ মর্যাদা’ দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, তালেবান আমেরিকাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নেবেন না। যেদিন ধৈর্যের পরীক্ষা ভেঙে যাবে, আপনিও থাকবেন না, অদৃশ্য হয়ে যাবেন।
মেহেবুবা মুফতি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার যদি জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি নিশ্চিত করতে চায়, তাহলে তাকে ৩৭০ ধারা পুনর্বহাল করতে হবে এবং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যা সমাধান করতে হবে।
জম্মু-কাশ্মীরের কুলগামে এক সভায় বক্তব্য রাখার সময়ে মেহেবুবা বলেন, তালেবান আমেরিকাকে আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। সারা বিশ্ব তালেবানের আচরণ দেখছে। আমি তালেবানদের কাছে অনুরোধ করছি তারা যেন এমন কোনও কাজ না করে যা বিশ্বকে তাদের বিরুদ্ধে যেতে বাধ্য করবে। তালিবানে বন্দুকের ভূমিকা শেষ হয়ে গেছে এবং তারা মানুষের সাথে কেমন আচরণ করবে বিশ্ব সম্প্রদায় তা দেখছে।
মেহেবুবা বলেন, ১৯৪৭ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু জম্মু-কাশ্মীরের নেতৃত্বকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে জনগণের পরিচয়কে সবরকমভাবে সুরক্ষিত করা হবে এবং ‘বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা’ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার সময়ে যদি বিজেপি সরকারে থাকত, তাহলে জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অংশ হতো না। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি কাশ্মীরের অসন্তোষ দমনে এজেন্সির অপব্যবহার করছে।
মেহেবুবা মুফতির বক্তব্যের বিষয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বলেন, সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর এই সময়ে এই ধরণের বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। জম্মু-কাশ্মীর বরাবরই ভারতের অংশ।
অন্যদিকে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি রবীন্দ্র রায়না পিডিপি নেত্রী মেহেবুবা মুফতিকে টার্গেট করে বলেন, ভারত একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, জো বাইডেন নন। আমরা সব সন্ত্রাসীদের নির্মূল করব। মেহবুবা মুফতি একজন দেশদ্রোহী। তিনি দেশদ্রোহে লিপ্ত। তিনি জম্মু-কাশ্মীরের দেশপ্রেমিক মানুষকে অপমান করেছেন। মেহবুবা মুফতি কাশ্মীরে তালেবান শাসন চাচ্ছেন। কিন্তু আমাদের সরকার সব সন্ত্রাসীদের নিশ্চিহ্ন করে দেবে।