পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে পুলিশের এনকাউন্টার নিয়ে মিডিয়ার সামনে এসে নিহতের স্ত্রী যা বললেন তাতে ইলাহাবাদ পুলিশের কর্মকাণ্ড নিয়ে শোরগোল পড়ে গেল। পুলিশ জানিয়েছিল সাক্ষী উমেশ পালকে হত্যা করেছিল যে কজন তাদের মধ্যে উসমান নামের এক কাতিল এনকউনটারে মারা গিয়েছে। উমেশ পাল খুনে এলাকার প্রভাবশালী আতিক আহমদের দিকে আঙুল ওঠে। পুলিশ আতিকের সঙ্গীদের বাড়িতে বুলডোজার চালায়। উমেশ পাল ছিল বসপা বিধায়ক রাজু পাল হত্যায় মূল সাক্ষী। আতিকের নাম জড়ালে পুরো ঘটনা সাম্প্রদায়িক চেহারা নেয়। হিন্দু উমেশ পালকে মুসলিম গুণ্ডারা মেরেছে আর পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে এই ধারনা ছড়ানো হয়। ইলাহাবাদ পুলিশ উসমানকে হত্যার পর সেরকমই কৃতিত্ব দাবি করছিল কিন্তু বিজয় চৌধুরীর পত্নী সুহানী সংবাদ মাধ্যমের সামনে এসে জানায় উসমান বলে যাকে মারা হয়েছে সে তাঁর স্বামী বিজয় চৌধুরী। তারা হিন্দু, ধর্ম পরিবর্তন করে মুসলিম হয়নি কোনওদিন। তাঁর স্বামী রাতে বাড়িতেই ছিল তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায় তারপর শুনলাম এনকাউনটারে হত্যা করা হয়েছে উসমানকে। সুহানী জানান, তার স্বামী কোনও অপরাধে যুক্ত নয়। সে গাড়ির ড্রাইভার ২৪ ফেব্রুয়ারি যেদিন উমেশ পাল খুন হয় সেদিন তার স্বামী বাড়িতেই ছিল।
পুলিশের দাবি সিসিটিভি ফুটেজে উসমানকে দেখা গিয়েছে সেই প্রথম গুলি চালিয়েছিল উমেশের উপর। আতিকের ছেলে আসাদ বিজয়ের নাম রেখেছিল উসমান। আসাদ উমেশ পাল হত্যায় জড়িত। পুলিশ তাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। বিজয় চৌধুরীর বাবা বিজেন্দ্র চৌধুরী জানান, বিজয় ঘটনার সময় চারদিন বাড়িতেই ছিল। এই এনকাউটার নকল। উসমান পুলিশের দেওয়া কাল্পনিক নাম। পুলিশ তাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে।
মিডিয়া কর্মীরা ইলাহাবাদের কোধিয়ারা এলাকায় বিজয় চৌধুরীর বাড়িতে যায় সেখানে তখন মাতম চলছে। সকলেই পুলিশের নকল এনকাউটার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। সুহানী জানান, আমরা কোনও আতিককে চিনি না। আমাদের জোর করে মুসলমান সাজানো হচ্ছে। উল্লেখ্য, উমেশ পাল হত্যায় ৫ জন খুনিকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। একজনকে এনকাউনটারে মারা হয়েছে বাকিদের তল্লাশি চলছে। গোপনে ধর্ম পরিবর্তন করেছিল কিনা সেই বিষয় খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ। কিন্তু উসমান ওরফে বিজয়ের পরিবার বলছে পুলিশ তাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পনা করে হত্যা করেছে।