পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ সাগরদিঘি উপনির্বাচনে ২২ হাজার ৯৮০ ভোট, প্রায় ২৩ হাজারের কাছাকাছি ভোটে জয়ী হয়েছে বাম-কংগ্রেস জোটের বায়রন বিশ্বাস। এর পরে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করে সরব হয়েছেন অধীন চৌধুরী। অধীর বলেন, তৃণমূলকে উৎখাত করতে বিরোধীদের জোটবদ্ধ হতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে অপরাজিত নয়, তা প্রমাণ হল আরও একবার। অধীর বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্যই এত ভালো হয়েছে সাগরদিঘিতে। কংগ্রেস যে হারিয়ে যায়নি, তা প্রমাণ হল।
তার কিছুক্ষণ পরেই অধীরের বক্তব্যের প্ররিপ্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তৃণমূল একাই লড়াই করবে। বাম-কংগ্রেস-বিজেপিকে হারানোর জন্য তৃণমূল একাই যথেষ্ঠ। ২০২৪- কারুর সঙ্গে যাব না, মানুষের সঙ্গে তৃণমূলের জোটই যথেষ্ঠ।
তৃণমূলনেত্রী দাবি করেন, বাম-কংগ্রেস জোট অনৈতিক বলে দাবি করলেন তিনি। পরস্পরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে উপনির্বাচনে জয় হাসিল করলেও, আদতে বাম-কংগ্রেসের নৈতিক হার হয়েছে। নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক থেকে মমতা বলেন, সাগরদিঘি উপনির্বাচনে আমরা হেরেছি। কাউকে দোষ দেব না আমি। গণতন্ত্রে নির্বাচনী রাজনীতিতে হার-জিত লেগেই থাকে। কিন্তু এখানে অনৈতিক একটি জোট হয়েছে, যার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। মমতার কটাক্ষ, বিজেপি-র সাহায্য নিয়ে মমতাকে হারালে, নিজেদের বিরোধী বলেন কী করে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন দাবি করেন, বিজেপি বরাবরের মতো এখানে সাম্প্রদায়িক কার্ড খেলেছে। কিন্তু সিপিএম এবং কংগ্রেস তার থেকেও বেশি করেছে। বিষয়টি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু এ থেকে শিক্ষা নিচ্ছেন তাঁরা। এর পর আর কংগ্রেস অথবা সিপিএম-এর কথা শোনার প্রয়োজন নেই। যারা বিজেপি-র সঙ্গে রয়েছে, তাদের সঙ্গে কোনও ভাবেই হাত মেলাবে না তৃণমূল।
মমতার কথায়, ‘একটা নির্বাচন হয়তো জিতেছে, কিন্তু ওদের নৈতিক হার হয়েছে।”