পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: আগামী ২ মাসের মধ্যে কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচন। কর্ণাটককে পাখির চোখ করে, রাজ্যবাসীর মন জয় করতে শিবমোগা বিমানবন্দর তৈরি করানো হয়েছে প্রায় ৩৮৪ কোটি খরচ করে। পদ্মের আকারে গড়া দৃষ্টিনন্দন বিমানবন্দরটি সোমবার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা।
অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজেপি গরীবের কল্যাণের কথা ভাবে। তাই বিমানের টিকিটের দাম কমানোর পাশাপাশি দেশে বিমান তৈরির কথা ভাবছে, যাতে হাওয়াই চটি পরা সাধারণ নাগরিকও ‘হাওয়াই যাত্রা’ (বিমানে যাতায়াত) করতে পারেন। কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, কংগ্রেসের আমলে সরকার নিয়ন্ত্রিত বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া সম্পর্কে নেতিবাচক খবর শোনা যেত, লোকসানের মুখোমুখি হত তারা। এখন সেই পরিস্থিতি পাল্টেছে।
কংগ্রেস শুধুমাত্র শহরাঞ্চলে বিমানবন্দর গড়েছে, কিন্তু বিজেপি সরকার দেশের প্রত্যন্ত এলাকার যাতায়াত ব্যবস্থার কথা মাথায় রেখে কাজ করে। তাঁর মতে, কংগ্রেস আমলে যতগুলি বিমানবন্দর তৈরি হয়েছিল, বিজেপি ক্ষমতায় এসে মাত্র কয়েক বছরে ততগুলি বিমানবন্দর তৈরি করেছে। এয়ার ইন্ডিয়া আমেরিকার ও ইউরোপীয় বিমান নির্মান সংস্থার কাছ থেকে ৭০ বিলিয়ান ডলার মূল্যের ৪৭০ টি বিমান কেনার জন্য চুক্তি করেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। কর্মসংস্থানের বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, ওই বিমানগুলি চালানোর জন্য প্রায় ৫ হাজার বিমান কর্মীর প্রয়োজন হবে।
মঞ্চ থেকে জন্মদিন উপলক্ষে তিনি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিজেপি নেতা বি এস ইয়েদুরাপ্পাকে। এদিন ইয়েদুরাপ্পার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। উল্লেখ্য, চলতি বছরে এটি প্রধানমন্ত্রীর পঞ্চম কর্ণাটক সফর। এদিন মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, যানবাহন হোক বা সরকার, তাতে ডবল ইঞ্জিন থাকলে গতি বেড়ে যায়। শিবমোগায় নতুন বিমানবন্দর উদ্বোধনের পাশাপাশি এদিন কর্ণাটকে ৩৬০০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।
সোমবার ৯৯০ কোটি টাকার একটি রেললাইন প্রকল্প, ১০০ কোটি টাকার রেলওয়ে কোচিং ডিপো, ২১৫ কোটি টাকার সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পের অধীনে এদিন ১৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেন প্রধানমন্ত্রী নেরেন্দ্র মোদি। কর্ণাটকবাসীর মন জয় করতে কোটি কোটি টাকার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পাশাপাশি লিঙ্গায়েত সমাজের মন জয় করতে একসময় মূখ্যমন্ত্রী পদ থেকে প্রায় ছুঁড়ে ফেলা বি এস ইয়েদুরপ্পাকে সম্মান জানাতে উপস্থিত সকলের মোবাইলের আলোও জ্বালিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।