পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ‘বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে দৈনিক দিনকাল বন্ধ করে দেওয়ার অর্থ হচ্ছে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর স্পষ্ট আক্রমণ।’ নিউ ইয়র্কের কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টের (সিপিজে) প্রোগ্রাম ডিরেক্টর কার্লোস মার্টিনেজ ডি লা সেরনা এই মন্তব্য করেছেন। কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টের (সিপেজে) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘গত সোমবার জোরপূর্বক বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দলের পত্রিকা দৈনিক দিনকাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’ এতে আরও বলা হয়েছে, পত্রিকাটির ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস দাবি করেছেন, এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ‘অবৈধ ভিত্তিতে’। শিমুল বিশ্বাস বলেন, পত্রিকাটির প্রকাশক একজন দণ্ডিত আসামি;এই অভিযোগে ঢাকার জেলা প্রশাসন গত ২৬ ডিসেম্বর দৈনিক দিনকালের ডিক্লেয়ারেশন বাতিল করে। অথচ, অভিযোগে উল্লেখিত প্রকাশক ২০১৬ সালে পদত্যাগ করেছেন। দৈনিক দিনকালের প্রকাশক ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান। শিমুল বিশ্বাস সিপিজেকে বলেন, প্রেস কাউন্সিলের কাছে তারা এই নথি জমা দিয়েছেন যে তারেক রহমান আর পত্রিকাটির প্রকাশক নেই। সিপিজের প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, এ বিষয়ে জানতে ঢাকার জেলা প্রশাসক এবং বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের আপিল বোর্ডের প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনও উত্তর মেলেনি। কার্লোস মার্টিনেজ ডি লা সেরনা বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলকে এই আদেশ পর্যালোচনা করতে এবং তথ্যের অবাধ প্রবাহ বজায় রাখতে সহযোগিতার করার আহ্বান জানাই।’ এদিকে, বাংলাদেশে ‘দৈনিক দিনকাল’ বন্ধসহ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সংকুচিত হয়ে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিচ বলেন, বাংলাদেশে বেশ কিছু গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যেভাবে সংকুচিত করে দেওয়া হয়েছে তা উদ্বেগজনক।